কেব্ল টিভি এবং ডিটিএইচ গ্রাহকের স্বার্থে ১০ অগস্টের মধ্যে চ্যানেলের নতুন মাসুল হার প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাই। নিয়ন্ত্রকের দাবি, এতে টিভি দেখার খরচ কমবে। কিন্তু ট্রাই ও এই শিল্প সূত্রের খবর, এখনও তা মানতে নারাজ অধিকাংশ চ্যানেল সংস্থা। এমনকি বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা ফের বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ফলে এ নিয়ে জট এখনও বহাল। যদিও ট্রাইয়ের দাবি, স্থগিতাদেশ না-থাকায় তারা নির্দিষ্ট দিনেই এই নিয়ম রূপায়ণ করবে।
গ্রাহক স্বার্থে গত বছর কেব্লের নতুন নিয়ম ও মাসুল পদ্ধতি চালু করেছিল ট্রাই। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, পরোক্ষে বোকে বা প্যাকেজ নিতে কার্যত বাধ্য করা হচ্ছে। আলাদা চ্যানেলের দাম অনেক সময়েই বেশি রাখা হচ্ছে। আবার বোকে-তে বাড়তি অপছন্দের চ্যানেল ঢোকানো হচ্ছে। এই প্রবণতা রুখতে ট্রাই জানুয়ারিতে ফের আইন সংশোধন করে মার্চ থেকেই নতুন নিয়মে চ্যানেলের দর চালু করতে বলে। যেমন, বলা হয় চ্যানেলের দাম ১২ টাকা বা তার কম হলে তবেই তা বোকে-তে রাখা যাবে। সংস্থাগুলি এ নিয়ে আদালতে যায়। কিন্তু সেখানেও স্থগিতাদেশ না-পাওয়ায় ১০ অগস্টের নতুন সময়সীমা বেঁধে দেয় ট্রাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ নিয়ে সম্প্রতি ফের কিছু চ্যানেল সংস্থা মামলা দায়ের করেছে। দু’দিন তালিকাভুক্ত হলেও, তার শুনানি হয়নি। সোমবার ফের শুনানি হওয়ার কথা। শনিবার ট্রাই সূত্রের বক্তব্য, এখনও কোনও স্থগিতাদেশ না-থাকায় তারা ওই নির্দেশ কার্যকর করবে।
এ দিন কলকাতার অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রডব্যান্ড অ্যান্ড কেব্ল টিভি অপারেটর্সের সেক্রেটারি চন্দ্রনাথ পাইন বলেন, ‘‘এখনও চ্যানেলের দাম বদল নিয়ে কোনও কথা শুনিনি। তবে মামলার কথা শুনেছি।’’
আইডিয়াল কেব্ল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অলোক শর্মা অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে বোকে-র দাম বদল স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু এতে গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে যে ট্রাই যুক্তি দিয়েছে? এই প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও পরিবর্তন হলে তা গ্রাহকদের বোঝাতে সমস্যা হবে।’’
অনেক গ্রাহকের অবশ্য বক্তব্য, এই নিয়ম জানুয়ারিতেই সকলের জানা ছিল। আদালত স্থগিতাদেশ না-দিলে তা রূপায়ণে আর কত দেরি হবে?
No comments:
Post a Comment