কাল জয়েন্ট, আজ সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে সংঘাতে ঝুলে প্রায় ১০ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Monday, August 31, 2020

কাল জয়েন্ট, আজ সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে সংঘাতে ঝুলে প্রায় ১০ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ

 রাত ফুরলেই শুরু হবে জয়েন্ট (মেইন) পরীক্ষা। প্রস্তুতিও শেষ। কিন্তু পরীক্ষা কি আদৌ হবে? জবাব মিলবে আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী—উৎকণ্ঠায় ঘুম উড়েছে পরীক্ষার্থীদের। করোনা মহামারী আবহে নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষা নেওয়াকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য প্রবল টানাপোড়েনে ঝুলে রয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ। সংখ্যাটা প্রায় ১০ লক্ষ। যার মধ্যে ৩৭ হাজার ৯৭৩ জন পশ্চিমবঙ্গের। আর পরীক্ষা পিছনোর এই ‘বিদ্রোহে’র নেতৃত্বেও সেই পশ্চিমবঙ্গ। রয়েছে আরও ছ’টি অবিজেপি সরকারচালিত রাজ্য। তাদের রিভিউ পিটিশনের দ্রুত শুনানির জন্য আজ শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হবে। সিদ্ধান্তও হতে পারে আজই। কারণ, একদিকে আগামীকাল জয়েন্ট শুরু। অন্যদিকে, ২ সেপ্টেম্বর অবসর নিচ্ছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তাঁর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, কোভিড পরিস্থিতিতেও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই পরীক্ষা নিতে হবে। সাধারণত, রায়দানকারী বেঞ্চে রিভিউ পিটিশনের শুনানি হয়। এই দু’য়ে মিলেই একেবারে কাঁটার উপর ঝুলছে পরীক্ষার ভবিষ্যৎ।
৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জয়েন্ট (মেইন) পরীক্ষা হওয়ার কথা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সহ সাত কট্টর বিজেপি-বিরোধী রাজ্য যেভাবে তৎপর, তাতে রীতিমতো চাপে ন্যাশনাল টেস্টিং এ‌঩জেন্সি (এনটিএ) এবং শিক্ষামন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা মতোই পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, পুদুচেরি, শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র এবং জেএমএম নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড সরকার শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে। পরীক্ষার্থীর সংক্রমণের আশঙ্কাই তাঁদের মূল দুশ্চিন্তা। অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শুরু করতে মরিয়া কেন্দ্রও।
ইতিমধ্যেই দু’বার পরীক্ষা পিছিয়েছে। এপ্রিল এবং জুলাই মাসে তা হওয়ার ছিল। তাই আবার পিছিয়ে গেলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির পাশাপাশি শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে সমস্যা হবে বলেই শিক্ষামন্ত্রকের মত। তাই স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক রাজ্যগুলির সহযোগিতা চেয়েছেন। বলেছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতার বিষয় নয়। এতে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের প্রশ্ন জড়িয়ে। সব রাজ্যই নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী তিনি। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন নিশাঙ্ক।
কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করলেও ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের বেশিরভাগই পরীক্ষার পক্ষে বলেই উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী। যদিও তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। তিনিই এই মামলায় রাজ্যগুলির হয়ে সওয়াল করবেন। সিংভি বলেন, পরীক্ষার্থীদের দ্রুত অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার হার দেখে মন্ত্রী যে আগ্রহের তত্ত্ব দিচ্ছেন, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ানও প্রশ্ন তুলেছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে যদি কেউ সংক্রামিত হন, তার দায় কি কেন্দ্র নেবে?
যদিও সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যে নামাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন এনটিএর ডিজি বিনীত যোশি। বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা নয়, শিফটও বাড়ানো হয়েছে। গতবার ৫৭০টি পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। এবার হয়েছে ৬৬০। শিফট ৮ থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। একইভাবে আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে ২৪ জন বসতেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার মাত্র ১২ জন করে বসবেন। প্রতিটি শিফটে পরীক্ষার মধ্যে অন্তর থাকবে আধ ঘণ্টার। সেই সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্যানিটাইজ করা হবে।

No comments:

Post a Comment