প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়। শোকস্তব্ধ ভারত। শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ মানুষ সবাই। এই অবস্থায় ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সমস্ত সরকারি দফতর ও সরকার সাহায্য প্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংস্থায় ছুটি ঘোষণা করল নবান্ন। সোমবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটির বিষয়ে জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, প্রণবাবুর মৃত্যুতে আগামিকাল ছুটি থাকবে সমস্ত সরকারি দফতর। বন্ধ থাকবে সমস্ত কাজ। মঙ্গলবার কোনও কারণে তাঁর শেষকৃত্য না হলে যে দিন শেষকৃত্য হবে সেদিনও ছুটি ঘোষণা করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলাপনবাবু জানিয়েছেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় শোক শেষ হলে উজ্জাপন করা হবে দিনটি।
রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল ভিন্ন। সম্পূর্ণ দুই মেরুর দুটো দলের অন্যতম মুখ ছিলেন তাঁরা। তবু যখনই দেখা হত আন্তরিকতা ভরা থাকত মুহুর্তরা। একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরেকজন সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল দাদা বোনের। যে কোনও জটিল পরিস্থিতিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ পেয়েছেন মমতা, নিজেও বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছেন সেকথা।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে যেন অভিভাবক হারালেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্যুইট করে নিজের শোকবার্তা দিলেও, তাতে যেন স্বজন হারানোর কষ্ট ছিল। এদিন নিজের ট্যুইট বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ভারত রত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় আর নেই। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এই বার্তা দিতে হচ্ছে আমাকে। একটা যুগের শেষ হল।
দশকের পর দশক ধরে তিনি অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন। ভারতীয় রাজনীতিতে এক মহীরূহ ছিলেন তিনি। আমার প্রথম সাংসদ হওয়ার সময়ে একজন বর্ষীয়ান ক্যাবিনেট কলিগ ছিলেন, যখন মুখ্যমন্ত্রী হলাম, তখন তিনি রাষ্ট্রপতি। কত স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাঁকে ঘিরে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দিল্লি সফরে যাব, অথচ প্রণবদার সঙ্গে দেখা হবে না আর, এটা ভাবতে পারা যায় না। রাজনীতি থেকে অর্থনীতি- সব বিষয়েই গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। তাঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ আমি। সারাজীবন তাঁর অভাব অনুভূত হবে। তাঁর পুত্র অভিজিত ও কন্যা শর্মিষ্ঠার প্রতি রইল আন্তরিক সমবেদনা। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন কোমাচ্ছন্ন থাকার পর অবশেষে লড়াই শেষ।
No comments:
Post a Comment