মহামারীর অজুহাতে উন্নয়ন ফেলে রাখা যাবে না, সরকারি কাজে ফাঁকি রুখতে কড়া মমতা
করোনা আবহে লকডাউনের জেরে গত কয়েক মাস ধরে কাজের গতি শ্লথ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই। প্রশাসনিক কাজকর্মেও একই প্রভাব। আর তা নিয়েই এবার সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ নবান্নে ভারচুয়াল জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি কড়াভাবে সমস্ত দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জানিয়ে দিলেন, এতদিন কাজ করা যায়নি ঠিকমতো। তবে এবার মহামারীর অজুহাত দেখিয়ে আর কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। বিশেষত জনকল্যাণমূলক কাজের টার্গেট পূরণ করে ফেলতে হবে পুজোর মধ্যে। নাহলে জনগণকে তার অসুবিধা ভোগ করতে হবে।
সনিয়া ও মমতার ডাকে বৈঠক আজ, নিট-জেইই নিয়ে একজোট বিরোধীরা
সনিয়া গাঁধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ আহ্বানে বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক হতে চলেছে আজ, বুধবার। বৈঠকের মূল আলোচ্য করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিট এবং জেইই পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধিতা। বিরোধীদের নিয়ে এমন বৈঠকের যৌথ আহ্বায়ক হওয়ার জন্য মমতাকে প্রস্তাব দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সেই আহ্বান গ্রহণ করে মমতার প্রস্তাব, বর্তমান সময়ের জরুরি প্রয়োজন বিবেচনা করে ওই বৈঠকে নিট এবং জেইই-প্রশ্নে আলোচনা হোক। যা মেনে নিয়েছেন সনিয়া। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, সনিয়া-মমতার যৌথ উদ্যোগে এমন বৈঠক সাম্প্রতিক কালে প্রথম।
কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরে ডামাডোল সামাল দিয়ে সোমবার দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত সভানেত্রী পদে থাকছেন সনিয়াই। কংগ্রেসে নেতৃত্ব বদলের দাবিতে যাঁরা সরব হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বা বোঝাপড়ায় থাকা দলগুলির তরফেও কিছু নেতা মত দিয়েছেন, এই টানাপড়েনের কারণে বিরোধী ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া উচিত নয়। তাতে লাভ বিজেপির। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তিকে সমন্বয় করার প্রধান দায়িত্ব নিতে হবে সনিয়াকেই।
সেই মতোই মঙ্গলবার আসরে নেমেছেন সনিয়া। মমতাকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ ভাবে বিরোধী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে সনিয়ার বার্তা আসে মমতার কাছে। সনিয়া চাইছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বৈঠক হোক। এমন বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে মমতা প্রস্তাব দেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ছাত্র-ছাত্রীদের উপরে নিট এবং জেইই চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদকে আলোচ্য করা হোক। সেই প্রস্তাবই মেনে নিয়েছেন সনিয়া। পাশাপাশি, পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে অভিমত দিয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে কেন্দ্রের তরফে আবেদনের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এ দিন ফের চিঠি দিয়েছেন মমতা।
টিকা নিয়ে কথা ভারত-রাশিয়ার
রাশিয়ার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’-এর ভারতে উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা শুরু করল দুই দেশ।
গত ১১ অগস্ট করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করে সকলকে চমকে দেয় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। সে দেশে ওই প্রতিষেধকটি আবিষ্কার করেছে গামালেয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডিমিয়োলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। গোড়া থেকেই ভারতের বাজার ধরার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছে রাশিয়া। ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সিইও কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেছিলেন, কোভিডের প্রতিষেধক উৎপাদনের জন্য রাশিয়া ভারতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী। এ-ও জানান, স্পুটনিক-ভি তৈরিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের হাতই ধরতে চায় রাশিয়া।
সূত্রের খবর, করোনার প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে ভারতের রুশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরা আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত বৈঠক করেছেন। রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ নিজে ভারত সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন, জৈবপ্রযুক্তি দফতরের সচিব রাণু স্বরূপ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিজি বলরাম ভার্গবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
প্রথম দেখে সচিনকে ১০ বছরের ভাবেন শেন
প্রথম বার অস্ট্রেলিয়ার মাঠে সচিন তেন্ডুলকরকে শতরান করতে দেখে শেন ওয়ার্নের মনে হয়েছিল, ভারতীয় তারকার বয়স মাত্র ১০ বছর! সেটা ১৯৯১-’৯২ মরসুমে। মজা করে এমনটাই বললেন কিংবদন্তি অস্ট্রেলীয় লেগস্পিনার।
১৯৯১-৯২ মরসুমে ভারতের বিরুদ্ধে ওই সিরিজেই অভিষেক হয়েছিল ওয়ার্নের। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে প্রথম বার তিনি বল করেন সচিনকে। সেই টেস্টে অসাধারণ ১৪৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তার ঠিক পরেই পারথের বাউন্সি উইকেটে আবার শতরান পান সচিন। তখন তাঁর বয়স ২১ বছর।
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে ওয়ার্ন বলেছেন, ‘‘যখন প্রথম সচিনকে দেখি, তখন ওর বয়স ২১। কিন্তু দেখতে ১০ বছরের ছেলের মতো লাগছিল। আমাদের সব বোলারকেই যথেচ্ছ পিটিয়েছিল। এটাই হচ্ছে সচিনের বিশেষত্ব। যেখানে দেখতে লাগে অতি সাধারণ। কিন্তু খেলে অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে!’’ ব্যাটসম্যান হিসেবে সচিন কেন অসাধারণ, বোঝাতে গিয়ে ওয়ার্ন আরও বলেছেন, ‘‘এই ধরনের ক্রিকেটাররা একটা ভাল বল পেলে তা ফিল্ডারের হাতে মেরে নষ্ট করে না। বরং দুই ফিল্ডারের ফাঁক দিয়ে তা সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করে। তাতে বোলাররা চাপে পড়ে যায়। সচিন সেটাই করত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এ ভাবে খেললে ব্যাটসম্যানেরা অনেক নির্বিষ বল পেয়ে থাকে। কিন্তু ব্যাটসম্যান যদি আক্রমণাত্মক না হয়ে উইকেট বাঁচায়, তা হলে বোলার মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। তখন উইকেটের যেখানে খুশি বল ফেলা যায়। বোলার ভাবে, এই ব্যাটসম্যান আর যাই করুক, তাকে মারবে না।’’
মানবিক সচিন: একটা সময় সচিনের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাট সারিয়ে দিতেন আশরাফ চৌধুরি। এ বার সেই অসুস্থ মানুষটির পাশে এসে দাড়ালেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ক্রিকেট মহলে পরিচিত আশরাফ চাচা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১২ দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সঙ্গে তাঁর ডায়াবেটিসের সমস্যাও আছে। এই ব্যাট-নিমার্তার এক বন্ধু প্রশান্ত জেঠমালানি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘‘সচিনই দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চিকিৎসার খরচের একটা বড় অংশই উনি দিয়েছেন।’’
পাত্রসায়রে ঘূর্ণিঝড়, জলউঠে গেল আকাশের দিকে
আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি নেই। মাঠে কোদাল নিয়ে ধানের জমিতে আগাছা তুলছিলেন জগন্নাথ গড়াই। হঠাৎ ঝড়ের আওয়াজ। চোখ তুলে তাকাতেই তিনি দেখতে পান ধোঁয়ার মতো কুণ্ডলি পাকিয়ে পুকুরের সব জল উঠে যাচ্ছে আকাশে। এই বুঝি তাঁকেও আকাশে তুলে নেবে! কিন্তু আসলে কী ঘটছে, তা বুঝে উঠতে না পেরে ভয়ে কোদাল নিয়ে জগন্নাথবাবু দৌড় দেন গ্রামের দিকে। পরে বোঝেন, ওটা একপ্রকার ঘূর্ণিঝড়।
সোমবার পাত্রসায়রের তালসাগড়া এলাকায় হওয়া ওই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি বিরল ওই দৃশ্য মূহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালে ধুলোর ঘুর্ণিঝড় প্রায়ই দেখা গেলেও জলের ঘূর্ণিঝড় এলাকায় পরিচিত না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তা নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে এলাকায় বিরল হলেও জলের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা নেই বলে বিশেষজ্ঞমহল ব্যাখ্যা করেছেন।
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক সুব্রত পান বলেন, তালসাগড়া এলাকায় যে ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে, সেটি একটি ‘ওয়াটার স্পাউট’। কোনও এলাকায় জলের উপর হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে দ্রুত বাষ্প তৈরি হয়। এবং তার উপরিভাগে মেঘ থাকলে দ্রুত ওই বাষ্প উপরের দিকে টেনে নেয়। একটি ফানেলের মতো ঘুরতে ঘুরতে উপরের দিকে উঠে যায়। তালসাগড়ায় হওয়া ঘূর্ণিঝড় একটি দুর্বল প্রকৃতির ‘ওয়াটার স্পাউট’।
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক সুব্রত পান বলেন, তালসাগড়া এলাকায় যে ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে, সেটি একটি ‘ওয়াটার স্পাউট’। কোনও এলাকায় জলের উপর হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে দ্রুত বাষ্প তৈরি হয়। এবং তার উপরিভাগে মেঘ থাকলে দ্রুত ওই বাষ্প উপরের দিকে টেনে নেয়। একটি ফানেলের মতো ঘুরতে ঘুরতে উপরের দিকে উঠে যায়। তালসাগড়ায় হওয়া ঘূর্ণিঝড় একটি দুর্বল প্রকৃতির ‘ওয়াটার স্পাউট’।
No comments:
Post a Comment