স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করলেন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শনিবার সন্ধ্যায় ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও ও ১৭টি শব্দ পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা করেছেন মাহি। লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ। গোটা কেরিয়ারে ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে ধরে নিন।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও এদিন রাত পর্যন্ত যা খবর, আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আইপিএলে চেন্নাই সুপারকিংসের জার্সিতে মাঠে নামবেন ধোনি।
সিএসকের ছ’দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে শুক্রবার চেন্নাই পৌঁছন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে এতবড় সিদ্ধান্তটি আসছে তা ঘুণাক্ষরে টের পেতে দেননি ‘ক্যাপ্টেন কুল’।
২০১৯ সালে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর আর মাঠে দেখা যায়নি ধোনিকে। তখন থেকেই ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। স্বয়ং ধোনিও কবে মাঠে ফিরবেন সেই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না। গত বছরের শেষের দিকে মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ধোনি। সেখানেও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধেয়ে আসে অবসরের প্রসঙ্গ। তখন ধোনি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে তিনি এবিষয়ে কোনও কথা বলবেন না। এম এসের অবসরের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘একটি যুগের অবসান হল। বিশ্ব ও দেশের ক্রিকেটে কী অসাধারণ খেলোয়ার ছিলেন তিনি। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অধিনায়কত্ব কার্যত তুলনাহীন।’ শচীন তেন্ডুলকরের ট্যুইট, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে তোমার অবদান অপরিসীম। ২০১১ সালে একসঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা।’ ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘একদিন প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই সফর শেষ করতে হয়। কিন্তু, যখন এত কাছের কেউ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তখন আবেগ আরও বেশি করে ঝরে পড়ে। গোটা বিশ্ব তোমার কৃতিত্ব দেখেছে, আমি মানুষটাকে দেখেছি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন।’
ধোনির অধিনায়কত্বে ভারত ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১০ ও ২০১৬ সাৱে এশিয়া কাপ, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে। দেশের হয়ে ৩৫০টি একদিনের ম্যাচ, ৯০টি টেস্ট ও ৯৮টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ধোনি।
অন্যদিকে, ধোনির স্নেহধন্য হিসেবে পরিচিত সুরেশ রায়নাও এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। ধোনির অবসরের সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণের মধ্যে রায়নাও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। তবে ধোনির মতো তিনিও এবছর আইপিএল খেলবেন বলে খবর। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার দেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
সিএসকের ছ’দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিতে শুক্রবার চেন্নাই পৌঁছন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে এতবড় সিদ্ধান্তটি আসছে তা ঘুণাক্ষরে টের পেতে দেননি ‘ক্যাপ্টেন কুল’।
২০১৯ সালে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারের পর আর মাঠে দেখা যায়নি ধোনিকে। তখন থেকেই ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। স্বয়ং ধোনিও কবে মাঠে ফিরবেন সেই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না। গত বছরের শেষের দিকে মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ধোনি। সেখানেও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধেয়ে আসে অবসরের প্রসঙ্গ। তখন ধোনি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারির আগে তিনি এবিষয়ে কোনও কথা বলবেন না। এম এসের অবসরের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘একটি যুগের অবসান হল। বিশ্ব ও দেশের ক্রিকেটে কী অসাধারণ খেলোয়ার ছিলেন তিনি। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অধিনায়কত্ব কার্যত তুলনাহীন।’ শচীন তেন্ডুলকরের ট্যুইট, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে তোমার অবদান অপরিসীম। ২০১১ সালে একসঙ্গে বিশ্বকাপ জেতা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা।’ ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘একদিন প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই সফর শেষ করতে হয়। কিন্তু, যখন এত কাছের কেউ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তখন আবেগ আরও বেশি করে ঝরে পড়ে। গোটা বিশ্ব তোমার কৃতিত্ব দেখেছে, আমি মানুষটাকে দেখেছি। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন।’
ধোনির অধিনায়কত্বে ভারত ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ, ২০১০ ও ২০১৬ সাৱে এশিয়া কাপ, ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে। দেশের হয়ে ৩৫০টি একদিনের ম্যাচ, ৯০টি টেস্ট ও ৯৮টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ধোনি।
অন্যদিকে, ধোনির স্নেহধন্য হিসেবে পরিচিত সুরেশ রায়নাও এদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। ধোনির অবসরের সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণের মধ্যে রায়নাও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। তবে ধোনির মতো তিনিও এবছর আইপিএল খেলবেন বলে খবর। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার দেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
No comments:
Post a Comment