১০০ বছর বয়সেও শাড়ি বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধা – প্রতিদিন সকালে পদ্মম নায়ার খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, সংবাদপত্র পড়েন। বয়স একশো বছর প্রায়।চিত্রকর্ম, বুনন এবং আনুষঙ্গিক কাজকর্ম করেন। যদিও বয়সের সাথে খুবই বেমানান তবুও নিজের বয়সের সাথে ডেইলি
রুটিন পাল্টে ফেলেননি তিনি। এই শতবর্ষী মহিলার সাতজন নাতি-নাতনি এবং চারজন নাতি-নাতনি রয়েছে তার সাথে।পদ্মম নয়ার জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বেড়ে ওঠেন ত্রিশুরের ওয়াদাকানচেরিতে।পরে তিনি কে কে নায়েরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মুম্বাই চলে এসেছিলেন।এরপরে ত্রিশ বছর আগে তিনি মেয়ে লতার সাথে পুনে না পৌঁছানো অবধি এর্নাকুলামে চলে আসেন।পদ্মম পাঁচটি সন্তানকে নিজের হাতে বড়
করেছেন।পুনের ওয়ানাওয়াদীর লতার ফ্ল্যাটে পদ্মম ১৮ ই জুলাই তার ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। তার কন্যা লতা জানিয়েছেন, ” নিজেকে ব্যস্ত রাখতে তিনি সবসময়ই কিছু না কিছু খুঁজে পান।”শখের বিষয়টি যখন জীবনে বড় হয়ে দাঁড়ায় তখন বয়সের গাছ পাথর কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা।বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বাগান পরিচর্যা করতেন। তার কয়েক বছর পর তিনি অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রেখে
রুটিন পাল্টে ফেলেননি তিনি। এই শতবর্ষী মহিলার সাতজন নাতি-নাতনি এবং চারজন নাতি-নাতনি রয়েছে তার সাথে।পদ্মম নয়ার জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বেড়ে ওঠেন ত্রিশুরের ওয়াদাকানচেরিতে।পরে তিনি কে কে নায়েরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মুম্বাই চলে এসেছিলেন।এরপরে ত্রিশ বছর আগে তিনি মেয়ে লতার সাথে পুনে না পৌঁছানো অবধি এর্নাকুলামে চলে আসেন।পদ্মম পাঁচটি সন্তানকে নিজের হাতে বড়
করেছেন।পুনের ওয়ানাওয়াদীর লতার ফ্ল্যাটে পদ্মম ১৮ ই জুলাই তার ১০০ তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। তার কন্যা লতা জানিয়েছেন, ” নিজেকে ব্যস্ত রাখতে তিনি সবসময়ই কিছু না কিছু খুঁজে পান।”শখের বিষয়টি যখন জীবনে বড় হয়ে দাঁড়ায় তখন বয়সের গাছ পাথর কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা।বেশ কয়েক বছর আগে তিনি বাগান পরিচর্যা করতেন। তার কয়েক বছর পর তিনি অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রেখে
তাদেরও যত্ন করতেন। কার্যত তিনি একজন সখের মানুষ,যিনি নিজের ইচ্ছাকে আগে প্রাধান্য দেন। তার মেয়ে লতা বলেছেন,”আম্মা (মা) মাছের ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করতেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজের মনের মত পরিস্কার হত দীর্ঘক্ষণ ধরে পরিষ্কার করতেন। তবে তিনি এখনও মাছ রাখেন ও তাদের খাবার দেন”।তার স্কুলের দিন থেকেই পদ্ম চিত্রকলায় আগ্রহী। যদিও তিনি পেশাগতভাবে এটি গ্রহণ করতে পারেন নি।তবে
নিজের দ্বারা সমস্ত কিছু শেখার আবেগ ছিল তার মধ্যে। হস্তশিল্প থেকে পেইন্টিং এবং সূচিকর্ম পর্যন্ত এমন কিছুই ছিল না যা সে চেষ্টা করে নি।এরপরে পদ্মম তার চিত্রকলার দক্ষতা ছেড়ে দিয়ে সেলাইয়ের প্রতি আরও আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এমব্রয়ডারি এমন একটি জিনিস যা তিনি পরে নিজের জীবনে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে ফেলেন। সময় কাটানোর জন্য তিনি এখন সেলাইয়ের কাজ করেন।গণিত থ্রেড সূচিকর্মের
একধরণের ক্রস-সেলাইও করেছিলেন তিনি।যদিও সে চিত্রাঙ্কন বন্ধ করে দিয়েছেন, তবুও শিল্পকে ছেড়ে থাকা তার কম্ম নয়। তিনি শাড়ির পেইন্টিংয়ে আবার ফিরে এসেছিলেন। প্রাসাদ থেকে শুরু করে সীমানা পর্যন্ত পুরো শাড়ি তার হাতে আঁকা।তার কন্যা লতা মনে করেন,”তার আসল প্রতিভা সর্বদা চিত্রকলায় সুপ্ত থাকে।ছোট থেকে শুরু করলেও পারিপার্শ্বিক মানুষজন তাকে উৎসাহিত করেছিল। এমনকি তারা তার কাছ
থেকে হাতে আঁকা শাড়িও নিতে চেয়েছিলেন।”লতার স্বামী তাকে আঁকার জন্য তুলি এনে দেন।তিনি সাধারণত তষর সিল্কের ওপর চিত্র আঁকেন। অনেক নিয়মিত গ্রাহক আছেন যারা তাঁর হাতে আঁকা শাড়ি ক্রয়গুলি ক্রয় করেন। অর্ডার নিতে পদ্মম মাধ্যম হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে।পদ্মম বলেছেন, “আমি ফেসবুকে নেই কারণ আমার সেখানে কথা বলার মতো পর্যাপ্ত বন্ধু নাও থাকতে পারে।”করোনা পরিস্থিতির কারণে
পদ্মমের জন্মদিন খুব বেশি জাঁকজমক ভাবে হবে না। পদ্মমের পাঁচ সন্তান হলেন ক্যাপ্টেন রামচন্দ্রন নায়ার, ক্যাপ্টেন কৃষ্ণকুমার নায়ার, লতা পার্বতী, উষা লেক্ষ্মী, এবং জয়গোপাল। তার হাত অবিচল এবং চক্ষু দৃষ্টিশক্তি এখনও ভাল। পদ্মম গান শুনতেও পছন্দ করে। পায়ে ব্যথার মতো তার কেবল ছোট ছোট শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তবে তিনি এখনও তার আবেগ ধরে রেখেছে।
No comments:
Post a Comment