করোনার কারণে বেহাল অর্থনীতি। আর্থিক কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা চলছে সর্বত্র। তবু গোটা দেশে অর্থনীতি একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এখনও এক বছর সময় লাগবে। একটি সমীক্ষার উপর নির্ভর করে এমনই পূর্বাভাস দিল অন্যতম শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা পিডব্লুসি। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত থাকা প্রায় দেড় হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ সম্পূর্ণভাবে শুরু হয়ে যাবে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতিও আবার নতুন করে উন্নতির দিকে এগবে। তবে ওই শিল্প উপদেষ্টা সংস্থাটির বক্তব্য, যত তাড়াতাড়ি করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসবে, অর্থনীতি তত তাড়াতাড়ি চাঙ্গা হবে। তবে বাজারে ভ্যাকসিন এলেও তা ১৩০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সময়সাপেক্ষ বলেই দাবি করেছে তারা। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, দেশে একইসঙ্গে তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। যে মুহূর্তে তা বাজারে আনার ছাড়পত্র মিলবে, তারপরই সরকার দ্রুততার সঙ্গে তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেবে। কী কৌশলে তা দেওয়া হবে, তার রোডম্যাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও পিডব্লুসি’র রিপোর্ট অনুযায়ী সেই ভ্যাকসিন বণ্টন খুব শীঘ্র সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশের আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে সরকার খরচ আরও বাড়াবে বলে মনে করছে এই শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা। তাদের বক্তব্য, বর্তমানে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ১১.৮ শতাংশ সরকারি খরচ হয়। আগামী বছর দু’য়েকের মধ্যে সরকার তা আরও পাঁচ থেকে সাত শতাংশ বাড়াবে বলে আশাবাদী তারা। তবে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার ক্ষেত্রে কর্মহীনতা একটা বড় সমস্যা তৈরি করবে বলেই মনে করছে পিডব্লুসি। তাদের বক্তব্য, যেখানে সাম্প্রতিককালে বেকারত্ব ২৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কম। তবুও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে সরকার খরচ আরও বাড়াবে বলে মনে করছে এই শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা। তাদের বক্তব্য, বর্তমানে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ১১.৮ শতাংশ সরকারি খরচ হয়। আগামী বছর দু’য়েকের মধ্যে সরকার তা আরও পাঁচ থেকে সাত শতাংশ বাড়াবে বলে আশাবাদী তারা। তবে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার ক্ষেত্রে কর্মহীনতা একটা বড় সমস্যা তৈরি করবে বলেই মনে করছে পিডব্লুসি। তাদের বক্তব্য, যেখানে সাম্প্রতিককালে বেকারত্ব ২৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, তা এখন অনেকটাই কম। তবুও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
No comments:
Post a Comment