সব কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি এক পরীক্ষায় আওতায় রেল, স্টাফ সিলেকশন, ব্যাঙ্কে নিয়োগ - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Thursday, August 20, 2020

সব কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি এক পরীক্ষায় আওতায় রেল, স্টাফ সিলেকশন, ব্যাঙ্কে নিয়োগ

রেল থেকে ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় সরকারি মন্ত্রক অথবা বিভাগে প্রশাসনিক পদ। সব ধরনের সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে আসা হচ্ছে একই পরিচালন ব্যবস্থার ছাতার নীচে। বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের জন্য বারংবার আবেদনপত্র জমা দেওয়া এবং পরীক্ষার দিন শেষ। পরিবর্তে এবার একটিই পরীক্ষা হবে। তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (এনআরএ)। তারাই নেবে কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট। তাও আবার অনলাইনে। ওই পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা হবে কর্মপ্রার্থীদের। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার, ব্যাঙ্ক, রেল, পুলিস, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি নানাবিধ চাকরির ক্ষেত্রে ২০ রকমের নিয়োগ সংস্থা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্তরের এতগুলি নিয়োগ সংস্থার জটিলতা কমাতে সচেষ্ট ছিল মোদি সরকার। প্রস্তাব এসেছিল, একটিমাত্র সংস্থা রাখার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কর্মপ্রার্থী যুবক-যুবতীদের অর্থ, সময় এবং মানসিক উদ্বেগ কমাতে বিশেষ কার্যকর হবে এই নতুন ব্যবস্থা। সরকারি চাকরির জন্য নানাবিধ পরীক্ষা দেওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেও তিনি মনে করেন।
অবশ্য এই নতুন নিয়মে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরের অর্থাৎ প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটিই গ্রহণ করা হবে। যে যে ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি টেস্টের পর টিয়ার টু এবং টিয়ার থ্রি পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে এই পরবর্তী দফাগুলির তত্ত্বাবধানে থাকবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়োগকারী সংস্থাই। কিন্তু শুধুই প্রিলিমিনারি টেস্টকে এই ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির আওতায় আনা হচ্ছে কেন? উত্তরটা অবশ্য সোজা। এই প্রাথমিক পর্বেই সবথেকে বেশি পরীক্ষার্থীর চাপ থাকে। এটি সর্বাধিক জটিল প্রক্রিয়া। তাই একবার এই পরীক্ষা হয়ে গেলে, নিয়োগকারী সংস্থাগুলির পক্ষে পরবর্তী ধাপের বাছাই করার পদ্ধতি অনেক স্বস্তিকর হবে।
আপাতত এই ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি দেশের কেন্দ্রীয় স্তরের ২০টি নিয়োগ সংস্থার মধ্যে তিনটির প্রিলিমিনারি টেস্ট পরিচালনা করবে। গোটা ব্যবস্থা স্থিতিশীল হয়ে গেলে আগামীদিনে আরও নিয়োগ সংস্থাকে নিয়ে আসা হবে এর অধীনে। এখন এই নয়া এজেন্সির আওতায় আসছে—রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড, স্টাফ সিলেকশন কমিশন এবং ইনস্টিটিউট অব ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন। অর্থাৎ রেল, সরকারি কর্মী এবং ব্যাঙ্ক। দেশে এই তিনটি কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির চাহিদাই সবথেকে বেশি। নতুন ব্যবস্থায় গ্র্যাজুয়েট, উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য পৃথক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘এই ব্যবস্থায় একজন পরীক্ষার্থী যে নম্বর তুলবে, সেই র‌্যাঙ্ক বা ফলাফলের ভিত্তিতেই পরবর্তী সময় তাঁকে সরাসরি ইন্টারভিউ অথবা মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকতে পারে সরকারি কোনও সংস্থা। যদি পরবর্তী ধাপের কোনও বাছাইকরণ প্রক্রিয়া থাকে, সেখানেও এই স্কোরের ভিত্তিতেই প্রার্থীকে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ ওই তিনটি নিয়োগ সংস্থাকে আর আলাদা আলাদা প্রিলিমিনারি টেস্টের আয়োজন করতে হবে না।’
এই অভিন্ন পরীক্ষাটি হবে অনলাইনে। শুধু বড় শহর নয়, জেলায় জেলায় এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কর্মপ্রার্থীদের আবেদনের সময় পোর্টালে নিজেদের সেন্টার বাছাই করার সুযোগ থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেছেন, দরিদ্র পরিবারের কর্মপ্রার্থী কিংবা মেয়েদের যাতে দূরে পরীক্ষা দিতে যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। ইংরেজির পাশাপাশি এই কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হবে আঞ্চলিক ভাষাতেও। এমনকী কিছু কিছু সরকারি দপ্তর এও স্থির করেছে যে, একবার এই কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট শুরু হলে তারা আর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা নেবে না। নতুন এই ব্যবস্থা চালু করতে মোট ১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। আপাতত ১১৭টি জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

No comments:

Post a Comment