করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এখনও স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন-বাস পরিষেবা। তার জেরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল ক্লার্কশিপের দ্বিতীয় পর্ব সহ রাজ্য সরকারি অফিসে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ৩৭টি লিখিত পরীক্ষা। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেগুলি হওয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি এক বৈঠকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) ফুল বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের দাবি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্য সরকারি অফিসে প্রায় ১০ হাজারের বেশি নিয়োগ হতো। যা বেশ কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে গেল। এই সময়কালের মধ্যে ডব্লুবিসিএস সহ কিছু ক্যাডারভিত্তিক পরীক্ষাও হওয়ার কথা। তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে বাকি থাকা চূড়ান্ত ইন্টারভিউয়ের কাজ চলবে পুরোদমেই। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ভার্চুয়াল’ প্রক্রিয়ায়। উল্লেখ্য এর আগেও দফায় দফায় পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করেছিল কমিশন।
পিএসসির চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে গণপরিবহণ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে কমিশন পরীক্ষার আয়োজন করলেও পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন না। সেই কারণেই প্রস্তাবিত ৩৭টি লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। যদিও পরীক্ষার্থীদের নিরাশ হতে বারণ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কমিশন সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততার সঙ্গে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির মধ্যে ক্লার্কশিপের দ্বিতীয় পর্ব, আইসিডিএস সুপারভাইজার মেইন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস (প্রিলি-মেইন), ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরের অধীনে ইন্সপেক্টর, এগ্রিকালচার মার্কেটিং অফিসার, শ্রমদপ্তরের অধীনে ইএসআই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের উদ্যানপালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগ ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।
এদিকে, লিখিত পরীক্ষার এই সঙ্কটময় মুহূর্তেও চূড়ান্ত ইন্টারভিউ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, যে সব পদে নিয়োগের শুধু এই পর্বটুকুই বাকি রয়েছে, তা নেওয়া হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এই প্রথমবার। এ প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘করোনার জন্য সব কিছু থমকে থাকতে পারে না। তাই বাকি থাকা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাছে কমিশনের তরফে এ সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে এই মূল্যায়ন হবে।’ সরকারি সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে পিএসসি। তারপর নির্দিষ্ট দপ্তরের কাছে সফল প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, কমিশনের আশ্বাস সত্ত্বেও এতগুলি লিখিত পরীক্ষা স্থগিত হওয়া নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, ডব্লুবিসিএস সহ কয়েকটি ক্যাডারভিত্তিক পরীক্ষায় সমস্যা হবে। কেননা, প্রতি বছর এই ধরনের পদে কয়েকশো অফিসার নিয়োগ করা হয়। এক বছর পরীক্ষা না হলে ক্যাডারের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়বে। কমিশনের অবশ্য বক্তব্য, এ নিয়ে তাদের ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। আগে একদিনে একটি পরীক্ষা নেওয়াই ছিল রেওয়াজ। কিন্তু এবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে, একদিনে পাঁচ থেকে ছ’টি আলাদা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষার্থীদের বছর নষ্ট না হয়। এছাড়াও সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য একাধিক বিকল্পের সন্ধানে রয়েছে পিএসসি।
কমিশন সূত্রে খবর, এই ৩৭টি লিখিত পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ চাকরি প্রার্থীর। শুধু ক্লার্কশিপের দ্বিতীয় পর্বের লিখিত পরীক্ষাতেই বসবেন ৬৬ হাজার ৪৯২ জন। উল্লেখ্য, ক্লার্কশিপের প্রাথমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী। মাসখানেক আগেই তার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্বের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। নবান্ন সূত্রের দাবি, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো পিএসসি খুব কম সময়ের মধ্যে এই বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা আপাতত থমকে গেল।
পিএসসির চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের জেরে গণপরিবহণ ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফলে কমিশন পরীক্ষার আয়োজন করলেও পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন না। সেই কারণেই প্রস্তাবিত ৩৭টি লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। যদিও পরীক্ষার্থীদের নিরাশ হতে বারণ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, কমিশন সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততার সঙ্গে সব পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির মধ্যে ক্লার্কশিপের দ্বিতীয় পর্ব, আইসিডিএস সুপারভাইজার মেইন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিস (প্রিলি-মেইন), ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরের অধীনে ইন্সপেক্টর, এগ্রিকালচার মার্কেটিং অফিসার, শ্রমদপ্তরের অধীনে ইএসআই হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের উদ্যানপালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগ ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।
এদিকে, লিখিত পরীক্ষার এই সঙ্কটময় মুহূর্তেও চূড়ান্ত ইন্টারভিউ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, যে সব পদে নিয়োগের শুধু এই পর্বটুকুই বাকি রয়েছে, তা নেওয়া হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এই প্রথমবার। এ প্রসঙ্গে দেবাশিসবাবু বলেন, ‘করোনার জন্য সব কিছু থমকে থাকতে পারে না। তাই বাকি থাকা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীদের কাছে কমিশনের তরফে এ সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে এই মূল্যায়ন হবে।’ সরকারি সূত্রের খবর, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে পিএসসি। তারপর নির্দিষ্ট দপ্তরের কাছে সফল প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, কমিশনের আশ্বাস সত্ত্বেও এতগুলি লিখিত পরীক্ষা স্থগিত হওয়া নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, ডব্লুবিসিএস সহ কয়েকটি ক্যাডারভিত্তিক পরীক্ষায় সমস্যা হবে। কেননা, প্রতি বছর এই ধরনের পদে কয়েকশো অফিসার নিয়োগ করা হয়। এক বছর পরীক্ষা না হলে ক্যাডারের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়বে। কমিশনের অবশ্য বক্তব্য, এ নিয়ে তাদের ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। আগে একদিনে একটি পরীক্ষা নেওয়াই ছিল রেওয়াজ। কিন্তু এবার পরিস্থিতির উন্নতি হলে, একদিনে পাঁচ থেকে ছ’টি আলাদা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। যাতে কোনওভাবেই পরীক্ষার্থীদের বছর নষ্ট না হয়। এছাড়াও সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য একাধিক বিকল্পের সন্ধানে রয়েছে পিএসসি।
কমিশন সূত্রে খবর, এই ৩৭টি লিখিত পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ চাকরি প্রার্থীর। শুধু ক্লার্কশিপের দ্বিতীয় পর্বের লিখিত পরীক্ষাতেই বসবেন ৬৬ হাজার ৪৯২ জন। উল্লেখ্য, ক্লার্কশিপের প্রাথমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী। মাসখানেক আগেই তার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্বের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। নবান্ন সূত্রের দাবি, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো পিএসসি খুব কম সময়ের মধ্যে এই বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা আপাতত থমকে গেল।
No comments:
Post a Comment