১৪ জুন থেকে ২৪ আগস্ট। প্রতিদিনই সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) নাম থাকে খবরের শিরোনামে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও জটিল হচ্ছে রহস্য। রোজই কিছু না কিছু খবর প্রকাশ্যে আসছে। এবার শোনা যাচ্ছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে (Rhea Chakraborty) গ্রেপ্তারের জল্পনা। সূত্রের খবর, রিয়াকে সমন পাঠাতে চলেছেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিং (Vikas Singh)। রিয়ার গ্রেপ্তারির জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিকাশ সিং জানান, সবদিক বিচার-বিবেচনা করে তারপর রিয়াকে সমন পাঠাবে সিবিআই। রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিয়ার প্রশ্নের উত্তরে যদি সিবিআই আধিকারিকরা সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতেই পারে। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে যে তিনি এবং সুশান্তের পরিবার সন্তুষ্ট সেকথাও জানান বিকাশ সিং। যদিও রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত কোনও সমন পাননি
এরই মধ্যে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy) টুইটে অভিযোগ করেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় দুবাইয়ের মাদক ব্যবসায়ীর যোগ রয়েছে। টুইটে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “সুশান্তের খুন হওয়ার দিন দুবাইয়ের ড্রাগ ব্যবসায়ী আয়েশ খান অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেন?’ এই প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ হিসেবে সুনন্দা পুষ্কর ও শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন স্বামী। লেখেন, “সুনন্দার মৃত্যুর পরও সত্যি ঘটনার উল্লেখ ছিল না ময়নাতদন্তে। তাঁর পাকস্থলীতে কিছু একটা পাওয়া গিয়েছিল, যার সঠিক তথ্য AIIMS-এর তরফে দেওয়া হয়নি।”
এদিকে সুশান্ত মামলায় টানা তিন দিন ধরে তাঁর বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি (Siddharth Pithani) এবং রাঁধুনি নীরজকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমবার আধিকারিকরা গিয়েছিলেন কুপার হাসপাতালে যেখানে সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। শোনা গিয়েছে, যে চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই সুশান্তের ফ্ল্যাটে গিয়ে ঘটনা পুনর্নির্মাণ করেছিলেন গোয়েন্দারা।
এরই মধ্যে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সুশান্তের জিম প্রশিক্ষক সুনীল শুক্লা এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং রিয়ার ‘সুগার ড্যাডি’ মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt) মিলে সুশান্তকে হত্যার জাল বিছিয়েছেন। রিয়ার বাবা নিয়মিত সুশান্তকে ওষুধ দিতেন। এমনকী ৮ জুন রিয়া সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরেও কেউ সুশান্তকে রোজ ওষুধ দিতেন বলে দাবি সুনীলের।
এদিকে শোনা গিয়েছে, সুশান্তের দেহ থেকে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তার মাত্র ২০ শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশই নিজেদের তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করেছে মুম্বই পুলিশ। আরেক সূত্রের দাবি, মৃত্যুর ন’দিন পরেও সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (Disha Salian) ফোন সচল ছিল। জুন মাসের ৯ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সেই ফোন থেকে একাধিক ইন্টারনেট কলও করা হয়েছে। দিশাল মৃত্যুর পরও কীভাবে তাঁর ফোন সচল ছিল? উঠছে সেই প্রশ্ন।
No comments:
Post a Comment