উপহার নয়। মিলল শুধুই প্রশংসা এবং একঝাঁক নিয়ম! ১৩০ কোটির দেশে আয়করদাতা মাত্র দেড় কোটি। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এদিন তাঁদের প্রাপ্তি বলতে এটুকুই। এই দেড় কোটি মানুষকে দেশের নির্মাতা এবং সৎ নাগরিক বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রতিদানে উৎসাহবর্ধক কোনও পুরস্কার বা ছাড়ের প্রত্যাশায় থাকা করদাতাদের হতাশই হতে হল। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়করের নতুন সংস্কার কর্মসূচি এবং ‘ট্রান্সপারেন্ট ট্যাক্সেশন’ নামে নয়া প্রকল্প চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী। যার প্রধান লক্ষ্য, সৎ এবং নিয়মিত করদাতাদের আরও সরকারি পরিষেবা এবং সুরাহা প্রদান। ট্যাক্সপেয়ারদের অধিকার শীর্ষক একটি বিস্তারিত তালিকা ঘোষণা করেন মোদি।
আশা ছিল, লকডাউন ও আর্থিক মন্দার মধ্যে এই নয়া আয়কর সংস্কারে করের বোঝা কমার মতো কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। কিন্তু তা হল না। শুধু এল একঝাঁক নিয়ম, যা জটিল কর-বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সরল করবে। বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থায়। মোদির কথায়, এর ফলে কোনও আয়কর দপ্তরের কর্মী-অফিসারের উপর প্রভাব খাটিয়ে কর ফাঁকি দেওয়া যাবে না। আবার সৎ করদাতাকেও চিহ্নিত করে হেনস্তা করতে পারবেন না আয়কর কর্মী-অফিসাররা। পাশাপাশি এবার থেকে কোনও অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করা হবে না। আইন অনুযায়ী যে ব্যক্তির যতটা আয়কর প্রদেয়, ঠিক ততটাই নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এই নিখুঁত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমেই রিফান্ড প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে চলেছে সরকার। বর্তমান নিয়মে সঠিক বিশ্লেষণ না করে আগেভাগে বেশি কর আদায় করা হয়। পরে সেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে করদাতাকে নানাবিধ সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হয়। এরকম ঝঞ্ঝাট থেকে করদাতাকে মুক্তি দিতেই এই নয়া ব্যবস্থা।
এদিন মোদি আরও আশ্বাস দেন, এখন থেকে করদাতাদের আরও সম্মানের চোখে দেখবে আয়কর বিভাগ। তাঁদের উপর বিশ্বাস রাখা হবে। বিনা প্রমাণে কাউকে হেনস্তা করা হবে না। এছাড়া নিয়ম করে বছরের পর বছর আয়কর দিয়ে চলা ব্যক্তিদের জন্য কোনও আশার কথা ছিল না প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তবে করকাঠামোর আওতার বাইরে থাকা মানুষদের নিয়েই এদিন বেশি চিন্তিত দেখিয়েছে তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১৩০ কোটি মানুষের দেশে মাত্র দেড় কোটি দেশবাসী নিয়ম করে আয়কর দিচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এটা হতে পারে না যে, বাকি সবাই আয়কর দিতে অক্ষম। তাই আমার অনুরোধ, যাঁরা আয়কর দিতে সক্ষম, কিন্তু কোনও কারণে করকাঠামোর নেটওয়ার্কের মধ্যে নেই, তাঁরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই আয়কর দিন। দেশগঠনের অংশ হওয়া উচিত প্রতিটি ভারতবাসীকে। এভাবে প্রকৃত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে দেশ।’ কিন্তু পক্ষান্তরে যাঁদের তিনি সাধুবাদ জানালেন, সেই করদাতাদের জন্য মোদির একটাই পরামর্শ—যাঁরা সৎ, তাঁদের আরও সৎ হতে হবে।
অন্যদিকে, অতীতের যাবতীয় আর্থিক সংস্কারকে এদিন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাফ দাবি করেছেন, অতীতে বিশেষ কিছুই হয়নি। এমনকী ১৯৯১ সালের মনমোহন সিং ও পি ভি নরসিংহ রাওয়ের প্রসঙ্গ পর্যন্ত উত্থাপন করেননি তিনি। বরং বলেছেন, স্বাধীনতার পর যা কিছু হয়েছে, তা সামান্য কিছু অদলবদল মাত্র। বড় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত সংস্কার করে চলেছি আমরাই। আগে সামান্য যা কিছু হয়েছিল, সেগুলি বাধ্য হয়ে করা। কিন্তু পরিকল্পনামাফিক আর্থিক সংস্কারের পথ দেখাচ্ছি আমরাই।’ আর সেই দাবির সপক্ষে এনেছেন একটাই যুক্তি—হাজারো ট্যাক্স ব্যবস্থা তুলে দিয়ে জিএসটি চালু করা।
আশা ছিল, লকডাউন ও আর্থিক মন্দার মধ্যে এই নয়া আয়কর সংস্কারে করের বোঝা কমার মতো কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। কিন্তু তা হল না। শুধু এল একঝাঁক নিয়ম, যা জটিল কর-বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সরল করবে। বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট ব্যবস্থায়। মোদির কথায়, এর ফলে কোনও আয়কর দপ্তরের কর্মী-অফিসারের উপর প্রভাব খাটিয়ে কর ফাঁকি দেওয়া যাবে না। আবার সৎ করদাতাকেও চিহ্নিত করে হেনস্তা করতে পারবেন না আয়কর কর্মী-অফিসাররা। পাশাপাশি এবার থেকে কোনও অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করা হবে না। আইন অনুযায়ী যে ব্যক্তির যতটা আয়কর প্রদেয়, ঠিক ততটাই নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এই নিখুঁত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্রমেই রিফান্ড প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে চলেছে সরকার। বর্তমান নিয়মে সঠিক বিশ্লেষণ না করে আগেভাগে বেশি কর আদায় করা হয়। পরে সেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে করদাতাকে নানাবিধ সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হয়। এরকম ঝঞ্ঝাট থেকে করদাতাকে মুক্তি দিতেই এই নয়া ব্যবস্থা।
এদিন মোদি আরও আশ্বাস দেন, এখন থেকে করদাতাদের আরও সম্মানের চোখে দেখবে আয়কর বিভাগ। তাঁদের উপর বিশ্বাস রাখা হবে। বিনা প্রমাণে কাউকে হেনস্তা করা হবে না। এছাড়া নিয়ম করে বছরের পর বছর আয়কর দিয়ে চলা ব্যক্তিদের জন্য কোনও আশার কথা ছিল না প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তবে করকাঠামোর আওতার বাইরে থাকা মানুষদের নিয়েই এদিন বেশি চিন্তিত দেখিয়েছে তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১৩০ কোটি মানুষের দেশে মাত্র দেড় কোটি দেশবাসী নিয়ম করে আয়কর দিচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এটা হতে পারে না যে, বাকি সবাই আয়কর দিতে অক্ষম। তাই আমার অনুরোধ, যাঁরা আয়কর দিতে সক্ষম, কিন্তু কোনও কারণে করকাঠামোর নেটওয়ার্কের মধ্যে নেই, তাঁরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েই আয়কর দিন। দেশগঠনের অংশ হওয়া উচিত প্রতিটি ভারতবাসীকে। এভাবে প্রকৃত আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে দেশ।’ কিন্তু পক্ষান্তরে যাঁদের তিনি সাধুবাদ জানালেন, সেই করদাতাদের জন্য মোদির একটাই পরামর্শ—যাঁরা সৎ, তাঁদের আরও সৎ হতে হবে।
অন্যদিকে, অতীতের যাবতীয় আর্থিক সংস্কারকে এদিন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাফ দাবি করেছেন, অতীতে বিশেষ কিছুই হয়নি। এমনকী ১৯৯১ সালের মনমোহন সিং ও পি ভি নরসিংহ রাওয়ের প্রসঙ্গ পর্যন্ত উত্থাপন করেননি তিনি। বরং বলেছেন, স্বাধীনতার পর যা কিছু হয়েছে, তা সামান্য কিছু অদলবদল মাত্র। বড় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত সংস্কার করে চলেছি আমরাই। আগে সামান্য যা কিছু হয়েছিল, সেগুলি বাধ্য হয়ে করা। কিন্তু পরিকল্পনামাফিক আর্থিক সংস্কারের পথ দেখাচ্ছি আমরাই।’ আর সেই দাবির সপক্ষে এনেছেন একটাই যুক্তি—হাজারো ট্যাক্স ব্যবস্থা তুলে দিয়ে জিএসটি চালু করা।
No comments:
Post a Comment