বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া টিকা দেওয়া হল পুতিনের মেয়েকেও - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Wednesday, August 12, 2020

বিশ্বে প্রথম ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া টিকা দেওয়া হল পুতিনের মেয়েকেও

দীর্ঘ আট মাসের আতঙ্ক থেকে মুক্তির হদিশ! বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রকাশ্যে আনল রাশিয়া। প্রতিযোগিতায় সব দেশকে পিছনে ফেলে, মঙ্গলবার মানবদেহে সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পূর্ণ ছাড়পত্র দিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা’ গড়ে তুলতে সক্ষম এই টিকা। এই সাফল্যকে রুশ-মার্কিন ঠান্ডা লড়াইয়ের সময়কার মহাকাশ অভিযানের প্রতিযোগিতার সঙ্গে তুলনা করছে মস্কো। সেই কারণে এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘স্পুটনিক ভি’। ১৯৫৭ সালে মহাকাশে পাঠানো বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের কথা মাথায় রেখেই এই নামকরণ। তবে মাত্র আড়াই মাসে হিউম্যান ট্রায়ালের পর ছাড়পত্র পাওয়া এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা এখনও বাকি। এই দফায় কয়েক হাজার মানুষের উপর ‘স্পুটনিক ভি’ প্রয়োগ করা হবে। তবে, তার মধ্যেই বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি ডোজ সরবরাহের অনুরোধ পেয়েছে রাশিয়া। সেপ্টেম্বরেই শুরু হয়ে যাবে উৎপাদন। অক্টোবরের শুরুতেই গণ টিকাকরণ চালু করা সম্ভব হবে। রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ জানিয়েছেন, আগামী দিনে আন্তর্জাতিক জোটে থাকা পাঁচটি দেশে টিকার ৫০ কোটি ডোজ উৎপাদনের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। সরাসরি না জানালেও তিনি ব্রিকস জোটের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে দাবি কূটনৈতিক মহলের। সেক্ষেত্রে লাভবান হবে ভারতও।
সম্প্রতি রুশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, ১২ আগস্ট ভ্যাকসিন তৈরির কথা ঘোষণা করা হবে। তার একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট সরকারিভাবে এই করোনা-টিকার রেজিস্ট্রেশনের কথা জানিয়ে দেন। এদিন সকালে একটি টেলিভিশন বার্তায় পুতিন বলেন, ‘আমি জানি এটি ভালোভাবেই কাজ করছে। কারণ, আমার এক মেয়েও এই টিকা নিয়েছে।’ তবে তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে কাকে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেকথা জানানি প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি আরও বলেন, প্রথমবার টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর মেয়ের ১০০ ডিগ্রির বেশি জ্বর এসেছিল। পরদিন তা কমে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়। টিকার দ্বিতীয় ডোজেও সামান্য জ্বর আসে। তবে পরে সব ঠিক হয়ে যায়।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানিয়েছেন, গামালেয়া ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ। স্বাস্থ্যকর্মী এবং শিক্ষকরা প্রথম এই ভ্যাকসিন পাবেন। ধাপে ধাপে বাকি নাগরিকরা। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার দাবি, এই ‘স্পুটনিক ভি’ টিকা আসলে দু’টি পৃথক উপাদান। যা দেহে প্রবেশ করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। গত ১৮ জুন ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। তাদের সকলের দেহেই দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে। তরল এবং ঠান্ডায় জমানো—এই দু’টি আকারে টিকা প্রস্তুত করেছে গামালেয়া।
প্রায় ৯ লক্ষ আক্রান্ত নিয়ে বর্তমানে বিশ্ব তালিকায় চতুর্থস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ভারতের ঠিক পরেই। এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি ঘিরে এদিন সকাল থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। টিকা তৈরির দৌড়ে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ। মস্কো যে বাজিমাত করেছে, তা অবশ্য অনেকেই মানতে নারাজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) আশঙ্কা, তাড়াহুড়োয় স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টিতে গাফিলতি না থেকে যায়। হু’র তালিকাতেও রাশিয়ার ভ্যাকসিনের নাম নেই। মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিষেবা সচিব অ্যালেক্স আজারও ‘স্পুটনিকে’র কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার টিকা মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটির নির্দিষ্ট মানের ধারেকাছে আসে না বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কাউন্সেলর কেলিয়ান কনওয়ে।

No comments:

Post a Comment