চাল-ডালে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিল কেন্দ্র আলু-পেঁয়াজও আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়  লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির শঙ্কা - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Wednesday, September 23, 2020

চাল-ডালে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিল কেন্দ্র আলু-পেঁয়াজও আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়  লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির শঙ্কা



আট বিরোধী এমপি সাসপেন্ড। আর তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতে সব বিরোধী দলের রা‌জ্যসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত। তাই মঙ্গলবার রাজ্যসভা ছিল বিরোধীশূন্য। এই সুযোগটাই কাজে লাগাল শাসক শিবির। মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই কাজ হাসিল। বিরোধী শূন্য রাজ্যসভার সুযোগ নিয়ে সাতটি বিল পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিটি বিলই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বয়কট করায় বিরোধী দলগুলি কোনওরকম আলোচনা ও সংশোধনী দেওয়ার সুযোগই পায়নি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (সংশোধনী) আইন’ সংক্রান্ত বিলও এদিন পাশ হয়ে গিয়েছে। এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে ধান, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তৈলবীজ আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় রইল না। ফলে এই পণ্যগুলির উৎপাদন, মজুতদারি, রপ্তানি এবং বিক্রি—কোনও ক্ষেত্রেই আর সরকারের কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। বিলে বলা হয়েছে, একমাত্র আপৎকালীন পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো সঙ্কট উপস্থিত হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে। অর্থাৎ, খাদ্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সেই সময় আরোপ হতে পারে নিয়ন্ত্রণ। সেক্ষেত্রে মজুতদারি ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে বিধিনিয়ম বলবৎ করা হবে। কিন্তু সাধারণ সময়ে এরকম কোনও লাগাম থাকবে না। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা এই তালিকাভুক্ত যে কোনও খাদ্যপণ্য কিনে মজুত করতে পারে। বাধা থাকবে না রপ্তানিতেও। কৃষকদের থেকেও এই সব পণ্য সরাসরি কর্পোরেট সংস্থাগুলি কিনতে পারবে। এবং কোনও সীমা না রেখেই। বিরোধীদের আশঙ্কা, এর ফলে প্রতি বছর যখন তখন কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হবে। লাগামছাড়াভাবে বাড়বে খাদ্যপণ্যের দাম। সরকার অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সরকারপক্ষ মঙ্গলবার বলেছে, এই বিলের মাধ্যমে কৃষক ও উপভোক্তা—উভয়পক্ষই সুবিধা পাবে। বাজারে যাতে পণ্যের সাপ্লাই বন্ধ না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই উদ্দেশ্য এই বিলের।

মঙ্গলবার বিরোধীশূন্য রাজ্যসভায় যে বিলগুলি অনায়াসে পাশ হয়েছে সেগুলি হল, আইআইআইটি আইন (সংশোধনী) বিল, ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ (সংশোধনী) বিল, কোম্পানিজ (সংশোধনী) বিল, ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বিল, রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় বিল এবং ট্যাক্স ও অন্য আইন সংশোধনী বিল। আর লোকসভায় এদিন যে তিনটি বিল পাশ হয়েছে সেগুলি হল, দ্য কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি, দ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড এবং দ্য অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড। লেবার কোড সংক্রান্ত এই তিনটি বিলই বুধবার রাজ্যসভায় পেশ হবে।

ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করানোর মাধ্যমে রাজ্যে রাজ্যে থাকা সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য মূলত দু’টি। প্রথমত, বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত রাখা। আর দ্বিতীয়ত, সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তাদের যথেচ্ছ অর্থ লগ্নি অথবা ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিলটি পাশ করানোর সময় বলেছেন, এই সংশাধনীর মাধ্যমে শুধুই সেইসব সমবায় সমিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, যারা ব্যাঙ্কিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিয়োজিত। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রের পিএমসি সমবায় ব্যাঙ্কের আর্থিক নয়ছয় ও গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এরকম একের পর এক বিলে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বহু সংশোধনী। কিন্তু সভায় হাজির না থাকায় সেইসব সংশোধনী, কিংবা বিল নিয়ে বিরোধীদের অন্যান্য দাবির সম্মুখীনই হতে হল না সরকারকে। বিনা বাধায় পাশ হল সাতটি বিল। যার জন্য বিরোধীরা সরকারকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়েছে। এদিন সংসদের বাইরে এ নিয়ে রীতিমতো তোপ দেগেছে বিরোধীরা। বলেছে, বিল পাশ করার সময় ভোটাভুটি চাওয়া হল। কিন্তু সেই দাবি সরকার মানল না। ধ্বনিভোটে বিল পাশ করাল। আর এখন তো সভা বিরোধীশূন্য। তার সুযোগ যে নেওয়া হবে, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। অন্যদিকে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি বলেছেন, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, ডেপুটি চেয়ারম্যান তো বটেই, সরকারপক্ষও বারংবার সভা বয়কট না করার জন্য বিরোধীরা আবেদন করেছে। তারপরও তারা নিজেদের সংসদীয় দায়িত্ব পালন করেনি। জনস্বার্থের আইন প্রণয়নকে বিরোধীরা আটকে দিতে চায়। 

No comments:

Post a Comment