Join Our WhatsApp Group! আজকের বাছাই করা খবর সব সরকারি কর্মীর নিয়ন্ত্রণ আসছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ? পরীক্ষায় বসেছেন মাত্র ২৫ শতাংশ, জয়েন্ট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার - Learn and Let others to Learn
Today is Tuesday, April 8. | 12:19:52 AM
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।

Thursday, September 03, 2020

আজকের বাছাই করা খবর সব সরকারি কর্মীর নিয়ন্ত্রণ আসছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ? পরীক্ষায় বসেছেন মাত্র ২৫ শতাংশ, জয়েন্ট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার

সব সরকারি কর্মীর নিয়ন্ত্রণ
আসছে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে 

 সরকারি চাকরি করতে হলে প্রশাসনিক, ডিজিটাল, তথ্য-প্রযুক্তি এবং সর্বভারতীয় স্তরে সরকারি প্রকল্প পরিচালনার নৈপুণ্য থাকতেই হবে। শুধু তাই নয়, এবার থেকে সরকারি অফিসারদের দক্ষতা যাচাই এবং মানোন্নয়ন প্রক্রিয়া সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসাররা তো বটেই, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যে নিযুক্ত সিভিল সার্ভিস অফিসারদেরও এই প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র। ‘কর্মযোগী মিশন’ নামক একটি প্রকল্প বুধবার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বস্তুত প্রশাসনিক সংস্কারের নামে এই প্রথম ভারতের আমলাকেন্দ্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কর্পোরেট ছাঁচে ফেলা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার শীর্ষে থাকবে প্রধানমন্ত্রী হিউম্যান রিসোর্স কাউন্সিল। অর্থাৎ সরাসরি গোটা দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর শীর্ষ পরিচালকদের কর্মধারা নির্ধারণ প্রক্রিয়া আনা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী চালিত একটি কাউন্সিলের অধীনে। ওই কাউন্সিল দেশের তাবৎ সরকারি অফিসারদের যোগ্যতা নির্ণায়ক প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। সেকশন অফিসার থেকে সচিব—সার্বিক স্তরে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পদাধিকারী হবেন প্রধানমন্ত্রী। রাখা হবে মুখ্যমন্ত্রীদেরও। অর্থাৎ রাজ্যের অফিসারদেরও এই কাউন্সিলের আওতায় আনতে চা‌ইছে কেন্দ্র। পাশাপাশি তৈরি হবে একটি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কমিশন। যারা সরকারি কর্মী ও অফিসারদের প্রশিক্ষণের পদ্ধতি ঠিক করবে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকারেরও কর্মী-অফিসারদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিও কি এই কমিশনের অধীনে আসতে চলেছে?
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, আমরা চাই রাজ্যগুলির কর্মী ও অফিসাররাও এই প্রক্রিয়ার আওতায় আসুক। তাই মুখ্যমন্ত্রীদের সর্বোচ্চ কাউন্সিলে রাখা হয়েছে। থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রীও। গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের ফের একটি বিরোধের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সিভিল সার্ভিস আধিকারিকরা সকলেই সর্বভারতীয় অফিসার। কিন্তু তাঁরা যে রাজ্যে কর্মরত থাকেন, সেখানকার প্রশাসনের হাতেই থাকে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ। এই আইএএস এবং আইপিএসদের দক্ষতা যাচাই এবং তাঁদের পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নজরদারি থাকলে রাজ্যগুলি আপত্তি করতে পারে। যদিও জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, এটা হল নতুন ভারতের যোগ্যতম সরকারি কর্মী অফিসার গড়ে তোলার উদ্যোগ। এবার থেকে সরকারি কর্মী ও অফিসাররা নিজেদের স্কিল ও শিক্ষাগত নৈপুণ্য অনুযায়ী বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এমনকী বিদেশের কোনও কোর্সে ভর্তিতেও তাঁদের বাধা থাকবে না। অফিসাররা নিজেদের স্কিল অনুযায়ী কোন বিভাগে যেতে চান, তা স্থির করবেন। এরপর দপ্তর বণ্টন করবে কমিশন। বুধবার ঘোষিত প্রকল্প অনুযায়ী, প্রশিক্ষণ পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষক দেবে কেন্দ্রই। এজন্য প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন হচ্ছে। 

লাদাখে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের
সিংহভাগ অংশ ভারতীয় সেনার দখলে


 লাদাখে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের প্রায় সিংহভাগ অংশই ভারতীয় সেনার দখলে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি অংশেই ভারতীয় বাহিনী রয়েছে অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে। ফলে চীনা সেনার যে কোনও মুভমেন্টই আপাতত ভারতীয় সেনার নজরদারির মধ্যে থাকবে। প্রতিটি পাহাড়ি এলাকাতেই অপেক্ষাকৃত উচ্চতর অবস্থানে ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স প্রহরারত। সোমবার পর্যন্ত দখলে ছিল শুধু ব্ল্যাক টপ। কিন্তু বিগত ৪৮ ঘন্টায় প্রায় প্রতিটি অংশেরই দখল নিয়েছে ভারত।
দু’দেশের সেনা স্তরের বৈঠকের মধ্যেই সোমবার রাতে চীন নতুন করে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি পয়েন্টে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ওই প্রয়াস ভারতীয় সেনা শুধু যে ভেস্তে দিয়েছে তাই নয়, চীনের সেনাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অনেকটা পিছনে সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হয়েছে। স্প্যাঙ্গার লেকের পশ্চিম প্রান্তও ভারত আবার কব্জা করেছে। সেনা সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, ওই এলাকার তিনটি অংশে ভারতীয় সেনা ‘রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট’ করেছে। শব্দের ব্যবহার থেকেই স্পষ্ট, এই অংশ তিনটিতে ছিল চীনের লালফৌজের প্রহরা। এখন আবার তা ভারতের হাতে এসেছে। পরিবর্তিত এই অবস্থায় সবথেকে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। লাগাতার তিনদিন ধরে চীন অভিযোগ করছে, ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে চীনের সীমানায় ঢুকে পড়েছে। এখনই ভারতকে সরে যেতে হবে। কিন্তু ভারতের বিদেশমন্ত্রক পাল্টা বলেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঠিক যেখানে প্রহরা পয়েন্ট সেখানেই সেনা মোতায়েন রয়েছে। লাদাখে ২৯ আগস্ট থেকে যে নতুন উত্তেজনা আর সংঘাতের সৃষ্টি হ঩য়েছে, সেটা আপাতত চীনকে যথেষ্ট ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে।  শ্রীনগর-লে হাইওয়েতে সেনা জওয়ানদের নজরদারি


পরীক্ষায় বসেছেন মাত্র ২৫ শতাংশ,
জয়েন্ট নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ মমতার 

 মঙ্গলবার সর্বভারতীয় জয়েন্টে রাজ্যের মাত্র ২৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। জেইই (মেইন) প্রসঙ্গে বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের এ কথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মঙ্গলবার এ রাজ্যে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৬৫২ জন। তার মধ্যে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে পেরেছেন মাত্র ১ হাজার ১৬৭ জন। ট্রেন বন্ধ থাকায় এবং করোনার ঝুঁকি এড়াতেই এত কম হাজিরা বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, আমরা এ কারণেই দাবি জানিয়েছিলাম, কেন্দ্রীয় সরকার যাতে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আদালতে আর্জি জানায়। এখন পরীক্ষা না হলে কী এমন ক্ষতি হতো, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
তবে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কেন্দ্রটিতে। এদিন বিটেকের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। মঙ্গলবার ছিল বি-আর্ক এবং বি-প্ল্যানিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই দুটিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এমনিতেই কিছুটা কম থাকে। কারণ যাই হোক, এদিন কিছুটা মরিয়া হয়েই পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রে চলে আসেন বহু পড়ুয়া। ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রথম দিন দূরত্ববিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করা গেলেও এদিন লাইনের শেষ দিকে কোনও দূরত্ববিধি ছিল না বললেই চলে। পরীক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রশাসনের দাবি, ওই এলাকা বারবার স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বিভিন্ন চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যে ছবি খুবই স্বাভাবিক, এবার জয়েন্টের ক্ষেত্রেও তাই দেখা গিয়েছে। কেউ বালুরঘাট থেকে দীর্ঘ বাসযাত্রা করে এসেই পরীক্ষায় বসে গিয়েছেন। কোনও পরীক্ষার্থী আবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে রিজার্ভেশন না পেয়ে মাটিতে বসে এসেছেন। কলকাতা বা আশপাশে যাঁদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন, তাঁদের ভাগ্য কিছুটা ভালো। খড়্গপুরের রমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর দুই মেয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাঁরা একদিন আগেই এসে উঠেছেন যাদবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। বহু পরীক্ষার্থী আবার কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া করে এক বা একাধিক দিন পরীক্ষা দিতে আসছেন। অনেকেই হয়রানির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। আবার অনেকের বক্তব্য, পরীক্ষা যে হচ্ছে, সেটা একদিক দিয়ে স্বস্তির ব্যাপার। না হলে পরীক্ষা নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে মানসিক চাপ বাড়ছিল।

কোভিড শ্মশান চালু, নজির আরামবাগের 

সুদেব দাস, আরামবাগ: করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার করা নিয়ে প্রশাসনকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ, এমনকী পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও দেখেছে আরামবাগ। তবে হাল ছাড়েনি পুলিস প্রশাসন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তৎপর হয় তারা। বাসিন্দাদের বুঝিয়ে কোভিড শ্মশান তৈরি করে নজির গড়ল আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। কলকাতায় এই ধরনের শ্মশান থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে হুগলির আরামবাগেই তা প্রথম। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের দাবি, আরামবাগের এই শ্মশানকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য জেলাগুলিও কোভিড শ্মশান তৈরিতে তৎপর হয়েছে।
আরামবাগের এসডিও নৃপেন্দ্র সিং বলেন, প্রথমদিকে করোনায় আক্রান্ত দেহ সৎকার নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল। বর্তমানে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আরামবাগ শহরের পল্লিশ্রী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে একটি শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া দেহ সৎকারের জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরও কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সর্বদাই প্রচার চলছে।
করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারের জন্য পৃথক শ্মশান তৈরির নির্দেশ আগেই দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেইমতো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কয়েকটি জায়গায় এমন শ্মশান তৈরি হয়েছে। কিন্তু, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ওই কাজ করতে গিয়ে প্রশাসনকে বারবার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। আরমবাগ মহকুমাতেও প্রশাসনকে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। খানাকুল, পুরশুড়া, গোঘাট, আরামবাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় করোনায় আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকার নিয়ে সাধারণ মানুষ ও পুলিস-প্রশাসনের গণ্ডগোল হয়েছিল। খানাকুলের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেহ সৎকার নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। তারপর প্রায় দেড় মাস বন্ধ ছিল ওই চুল্লি। মাসখানেক আগেও আরামবাগের বৃন্দাবনপুর এলাকায় পুলিসের গাড়ি আটকে রেখে রাতভর বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই আরামবাগ শহরে দ্বারকেশ্বর নদের পূর্ব পাড়ে কোভিড শ্মশান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু, সেখানেও পুলিস জনতার খণ্ডযুদ্ধ হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিসকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয়। তবে এই সমস্ত ঘটনার পরও পিছিয়ে আসেননি প্রশাসনের কর্তারা।

মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা ও পুলিস আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কেউ সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওভাবেই এনিয়ে আপস করা হবে না। পাশাপাশি স্বাস্থ্যদপ্তরও তৎপরতার সঙ্গে পাঁচ সদস্যর একটি টিম তৈরি করে। করোনায় আক্রান্ত দেহ সৎকারের জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শ্মশানের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করে। সেখানে পানীয় জল, আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগে তৈরি হওয়া ওই কোভিড শ্মশানে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত আটজনের দেহ সৎকার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের গাইড লাইন মেনেই সম্পন্ন করা হয়েছে সমস্ত কাজ। কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ২৪ ঘণ্টা পর পুরোপুরি প্যাকেটিং করে দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে শ্মশানে। এরপর মৃতের নিকটাত্মীয়, পরিজনদের উপস্থিতিতে সৎকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁরা অবশ্য পিপিই কিট পরে থাকছেন। তাছাড়া হাসপাতাল থেকে দেহ শ্মশানে নিয়ে আসার জন্যও একটি পৃথক শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই দেহ সৎকারের জন্য যাবতীয় খরচ বহন করছে প্রশাসন।

কলকাতার ধাপা মাঠে প্রথম করোনায় আক্তান্ত মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেছিল কলকাতা পুরনিগম। আরামবাগে ওই শ্মশান তৈরি হওয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া, বীরভূম জেলার প্রশাসনিক কর্তারা যোগাযোগ করেছেন মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, কীভাবে সম্ভব হল এই অসাধ্য সাধন। 

দল ভাঙছে, স্বীকার দিলীপ ঘোষের 

দল যে ভাঙছে, তা মেনে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। তবে তাঁর আশা, ঠিক সময়ে দলছুটরা আবার ফিরে আসবে। খড়্গপুর আইআইটির কয়েকজন অধ্যাপকের ডাকে বুধবার দিলীপবাবু খড়্গপুরে আসেন। নিজের বাংলোয় গিয়ে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি দলছুটদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেন।
কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য সহ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য দল ছেড়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এপ্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, পুলিস দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ওরা আমাদের দলের লোকদের তৃণমূলে নিয়ে যাচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর টাকার থলি নিয়ে ঘুরছেন। ফোন করছেন। পুলিস ফোন করে বলছে, ‘আসুন নয়তো গাঁজা ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে’। সেই কারণেই কিছু কিছু লোক চলে যাচ্ছে। ২০২১ সালে আমরাই ক্ষমতায় আসব। তখন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিন খড়্গপুর থেকে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে যান দিলীপবাবু। সেখানে বিজেপির একটি পার্টি অফিসের উদ্বোধন করেন। তারপর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অনেক নকশাল, খেঁকশেয়াল দেখেছি। ওসব দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, এখানে পঞ্চায়েত লোকসভায় তৃণমূলকে হারিয়েছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও পুরোপুরিভাবে হারাব। একটি আসনও তৃণমূল পাবে না। জেলার চারটি বিধানসভা আসনেই আমরা জিতব। 

প্রতিষেধক নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়, সতর্ক করল হু

এক দিকে কোভিড ১৯-এর প্রতিষেধক বাজারে আনতে প্রতিযোগিতা চলছে দেশে-দেশে। অন্য দিকে পাল্লা দিয়ে লকডাউন শিথিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গায়। যদিও বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে যে-সব দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেখানে এখনই ‘তালা খোলার’ পর্ব ডেকে আনতে পারে মহাবিপদ, সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস। পাশাপাশি প্রতিষেধকে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় তাড়াহুড়ো না করারই উপদেশ তাঁদের। সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথনের কথায়, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক অনুমোদন দেওয়ার তাড়ায় বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নিলে চলবে না। যথেষ্ট গুরুত্ব এবং গভীরতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা প্রয়োজন।’’ 
সোমবার সম্ভাব্য প্রতিষেধকের ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ ভিত্তিতে অনুমোদনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর প্রধান এই প্রসঙ্গে আজ জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা যদি মনে করেন যে ঝুঁকির তুলনায় লাভের পরিমাণ বেশি, তা হলে প্রতিষেধক অনুমোদন প্রক্রিয়ায় চলতি নিয়মের বদল আনতে তিনি প্রস্তুত। অন্য দিকে, ইতিমধ্যেই দু’মাসেরও কম সময়ে ট্রায়াল চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে রুশ টিকা। তবে সম্পূর্ণ তথ্য এবং পরিসংখ্যান জোগাড়ের আগেই এই  টিকায় অনুমোদনের হিড়িক কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বামীনাথন। একই অবস্থানে হু-র ‘এমার্জেন্সি প্রোগ্রাম’-এর প্রধান মাইক রায়ানও। তাঁর কথায়, ‘‘সম্পূর্ণ ট্রায়াল শেষের আগে টিকা বাজারে আনার ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা প্রয়োগ বন্ধ করা উচিত।’’

No comments:

Post a Comment

Featured Post

GRAMMAR PRACTICE SET FOR CLASS V,VI & VII

  Fill in the blanks with approproate articles and prepositions: I write ____my hand. Look ____ your mother. Suresh is ___B.A. His u...