করোনার (CoronaVirus) আবহে গাড়ি কেনার গতি আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকেই ব্যক্তিগত বাহন ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাঁদের ছিল না তাঁরাও কেউ কিনে ফেলেছেন, কেউ বা কেনার কথা ভাবছেন। গাড়ি কিনলে তার জন্য ডিজেল কিংবা পেট্রলও প্রয়োজন। সেকথাও নিশ্চয়ই ভেবে রেখেছেন। যদি রেখে থাকেন তাহলে ডিজেল বা পেট্রল কেনার ক্ষেত্রেও চোখ-কান দু’টোই খোলা রাখবেন। বিশেষ করে পেট্রল। কারণ অসৎ পেট্রল পাম্পগুলির (Petrol Pumps) গ্রাহক ঠকানোর বেশ কিছু উপায় থাকে। যেমন –
মিটারের কারসাজি- অনেক সময় মিটারে চিপ লাগিয়ে গ্রাহকদের ঠকানো হয়। বৈদ্যুতিক এই চিপের সাহায্যে রিডিং অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া যায়। যদি কখনও সন্দেহ হয় তাহলে এক লিটারের জলের বোতল নিয়ে তাতে তেল ভরে চেক করে নিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: পাবজিতে নিষেধাজ্ঞা! জানেন এখন কোন অনলাইন গেম খেলতে পছন্দ করেন ধোনি?]
প্রয়োজনের অতিরিক্ত লম্বা পাইপ- অসৎ পেট্রল পাম্পে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লম্বা পাইপ ব্যবহার করা হয়। এতে কী হয়? মিটারে যদি এক লিটার তেল দেখানো হয় তার পুরোপুরি গাড়ির ট্যাংকে পৌঁছয় না। কিছুটা তেল পাইপের ভিতরেই রয়ে যায়।
পাইপের সামনের দিকে অতিরিক্ত চাপ – তেল ভরানোর সময় যিনি তেল দিচ্ছেন, তিনি কীভাবে পাইপ ধরেছেন তা খেয়াল করবেন। যদি দেখেন পাইপের অগ্রভাগ আঙুল দিয়ে চেপে ধরে আছে তাহলে অবশ্য আপত্তি জানাবেন। এতে তেলের স্রোত নিয়ন্ত্রণ করে পাইপের ভিতরে কিছুটা তেল রাখার চেষ্টা করা হয়।
ন্যাপথা মিশ্রিত – অসাধু পেট্রল পাম্পের মালিকরা অনেক সময় পেট্রলের সঙ্গে ন্যাপথা মিশিয়ে দেন। ন্যাপথা পেট্রলেরই উপজাত দ্রব্য। ন্যাপথা ও পেট্রলের ঘনত্ব এক হওয়ার এই বিষয়টি সাধারণত ধরা পড়ে না।
বিভাজন নীতি- এই নীতি কেমন? একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। ধরুন, আপনি ১০০০ টাকার তেল ভরাতে বললেন। কর্মচারী না শোনার ভান করে প্রথমে ২০০ টাকার তেল ভরে বন্ধ করে দিল। তারপর আপনি যখন আবার বলবেন, তখন আগের রিডিং ডিলিট না করেই ৮০০ টাকা পর্যন্ত ভরিয়ে দিলেন। দেখে মনে হতেই পারে আপনি ২০০ ৮০০=১০০০ টাকার তেল ভরিয়েছেন। কিন্তু আদতে তা নয়, ২০০ লিটারের পর থেকে ৬০০ লিটার যোগ করে ৮০০ লিটার দেখানো হল আপনাকে। এক্ষেত্রে, পাম্পের কর্মীকে বলবেন রিডিং নতুন করে শুরু করতে। তারপর ০ থেকে শুরু করে ৮০০ লিটার তেল মেপে দিতে।
No comments:
Post a Comment