কমনে কাজ করছেন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন অথবা বাড়ির খুদে সদস্যটির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু এই সময়ে গুটি কয়েক মশা যে আপনার কানের কাছে এসে গুনগুন স্বরে গান শুনিয়ে যায়নি তা বলাই বাহুল্য। কারন, পৃথিবীর এমন কোনও দেশ নেই যেখানে ক্ষুদ্রাকৃতি এই রক্তচোষা পতঙ্গটির উৎপাত নেই!
ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রধান বাহকই হল এই মশা। আর এরা যেকোনও সময় বিশেষ করে সকালে এবং সন্ধ্যে নাগাদ এদিক-ওদিক থেকে এসে আপনার গায়ে-পায়েই হুল ফুটিয়ে পালিয়ে যায়।
অথচ আপনি কখন কী এরা খেয়াল করে দেখেছেন যে, মশারা আপনাকে অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই কামড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, কেন এত বেশি মশা আপনাকেই কামড়াচ্ছে? অন্যদেরও কামড়চ্ছে ঠিকই তবে আপনার মতো অতটা নই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পিছনেও কারণ আছে, আলবত আছে, নইলে কি আর মশারা বেছে বেছে কামড়ায়। কাকে কামড়াবে তা পছন্দের ক্ষেত্রে মশারা কিছু বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে। যেমন ধরুন,
৭.অ্যালকোহল:– শুনতে হাস্যকর মনে হলেও , এটাই সত্যি। অ্যালকোহল পানকারীদের মশারা বেশি কামড়ায়। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১২ আউন্সের এক বোতল বিয়ার পান করলেই মশারা আপনার কাছে ছুটে আসবে বেশি। যদিও বিজ্ঞানীরা এর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলেও ধারণা করছেন, ইথানলের কারণে এটি হতে পারে।
৮.কাপড়ের রং:- মশা মানুষের পরনের কাপড়ের রঙে আকৃষ্ট হতে পারে। অধিক রঙিন ও উজ্জ্বল রঙের কাপড় পরিধানকারীদের মশা বেশি কামড়ায়। বিশেষ করে কালো, গাঢ় নীল এবং লাল রঙের পোশাক পরা মানুষদের মশা বেশি কামড়ায়। তাই গরম বা যে যে সময়ে মশাদের উপদ্রব বেশি, সেই সময় হালকা রঙের পোশাক পরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তাহলে আর কী এবার আপনার রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী সাবধান থাকুন মশাদের অনভিপ্রেত উৎপাত থেকে। আর অবলম্বন করুন মশা দমনের বিভিন্ন উপায় গুলি।
১.রক্তের গ্রুপ:- অনেকেই আছেন যারা মনে করেন, তাঁর রক্ত বুঝি মশার কাছে মিষ্টি লাগে। তাই তাঁকে মশার কামড় বেশি খেতে হয়। কথাটি কিছুটা সঠিক। বিশেষ রক্তের গ্রুপের মানুষকে মশা একটু বেশিই কামড়ায়। দেখা গেছে, ‘ও পজিটিভি’ এবং ‘ ও নেগেটিভ’ দুই গ্রুপধারী মানুষকেই মশা বেশি কামড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মশা ‘ও’ গ্রুপের মানুষকে ‘এ’ গ্রুপের মানুষের চেয়ে দ্বিগুণ কামড়ায়। সুতরাং ও গ্রুপ রক্ত থাকলে সাবধান, দুই হাতে মশা তাড়িয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া আর উপায় নেই।
২.কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা :- মশারা কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। যেসব মানুষ নিঃশ্বাসে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করেন, মশা তাঁদের বেশি কামড়ায়। এ জন্য দেখা যায়, বাচ্চাদের তুলনায় বয়স্ক ও মোটা মানুষদের মশা বেশি কামড়ায়। তারা অপেক্ষাকৃত বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করেন।
৩.গর্ভাবস্থায়:- গর্ভবতী নারীদের মশা বেশি কামড়ায়। কারণ এ সময় তারা সাধারণ অবস্থার চেয়ে ২১ শতাংশের বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি উৎপন্ন করে এবং দেহের তাপমাত্রাও ১.২৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি থাকে, যা মশাদের আকৃষ্ট করে।
৪.ত্বকে থাকা রাসায়নিকের ধরন ও পরিমাণ:- ত্বকে প্রায় ৪০০ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায়, যাদের ধরন ও মাত্রার ওপর মশা কামড়ানো নির্ভর করে। শরীরের বিপাক ও ত্বকীয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে ত্বকে এসব রাসায়নিক যৌগ জমা হয়, যা বিভিন্ন ধরনের গন্ধ তৈরি করে। মশা এসব গন্ধ ব্যবহার করে শিকার নির্ধারণ করে।
৫.ঘামের গন্ধ:- অনেকেই বেশি ঘেমে ওঠেন। ঘামের ল্যাকটিক অ্যাসিড মশাদের হাতছানি দেয়। দেহের তাপমাত্রার তারতম্যও ঘামের একটা কারণ। সুতরাং কারও যদি বেশি ঘাম হয়, মশার আক্রমণের জন্য তৈরি থাকতে হবে!
৬.জিনেটিক্স:- জিনগত কারণও মশার পছন্দ-অপছন্দে প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিনের কারণে ৮৫ শতাংশ মানুষ বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল নির্গত করে ত্বক দিয়ে, বাকি ১৫ শতাংশ লোকজন তা করে না।
৭.অ্যালকোহল:– শুনতে হাস্যকর মনে হলেও , এটাই সত্যি। অ্যালকোহল পানকারীদের মশারা বেশি কামড়ায়। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১২ আউন্সের এক বোতল বিয়ার পান করলেই মশারা আপনার কাছে ছুটে আসবে বেশি। যদিও বিজ্ঞানীরা এর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারলেও ধারণা করছেন, ইথানলের কারণে এটি হতে পারে।
৮.কাপড়ের রং:- মশা মানুষের পরনের কাপড়ের রঙে আকৃষ্ট হতে পারে। অধিক রঙিন ও উজ্জ্বল রঙের কাপড় পরিধানকারীদের মশা বেশি কামড়ায়। বিশেষ করে কালো, গাঢ় নীল এবং লাল রঙের পোশাক পরা মানুষদের মশা বেশি কামড়ায়। তাই গরম বা যে যে সময়ে মশাদের উপদ্রব বেশি, সেই সময় হালকা রঙের পোশাক পরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
তাহলে আর কী এবার আপনার রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী সাবধান থাকুন মশাদের অনভিপ্রেত উৎপাত থেকে। আর অবলম্বন করুন মশা দমনের বিভিন্ন উপায় গুলি।
No comments:
Post a Comment