আজকের বাছাই করা খবর - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Thursday, September 10, 2020

আজকের বাছাই করা খবর

চীন সীমান্তে যুদ্ধ প্রস্তুতি, রাফাল নিয়ে তৈরি ভারত

চীনের প্রতিটি সীমান্তে হাই অ্যালার্ট। মঙ্গলবার থেকে লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে হঠাৎ করে সেনা তৎপরতা। ৪ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টে ভারত ও চীনের সেনার মধ্যে এই মুহূর্তে দূরত্ব মাত্র ২৫০ মিটার। দু’পক্ষই যেভাবে সীমান্তে বিপুল সেনা, রসদ ও ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট আনছে, তাতে একটাই শব্দবন্ধ ব্যবহার করা যায়—যুদ্ধ পরিস্থিতি। 

সোমবার গোদ পাও পাহাড়ি অঞ্চলের নদীতীরে ভারত ও চীনের সেনার নতুন করে সংঘাত হয়। ৪৫ বছর পর চীন-ভারত সীমান্তে হয়েছে গুলিবর্ষণ। সেটাই ছিল সূত্রপাত। তারপরই দু’পক্ষ চরম আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বিপুল সংখ্যায় সেনা মুভমেন্ট এবং ফাইটার জেটের লাগাতার উড়ান বাড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার তিব্বতের হোটন এয়ারবেস থেকে দিনভর জে-২০ ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে চীন। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। পূর্ব লাদাখ ও গলওয়ান উপত্যকার অভিজ্ঞতার পর ভারতের অতি সক্রিয়তায় চীন যথেষ্ট বিস্মিত। সেই সক্রিয়তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মঙ্গলবার থেকে সীমান্ত ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আকাশে ভারতের সু঩খোই ৩০, মিগ ২৯ এবং মিরাজ ২০০০ উড়ছে। 

অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার আর চিনুক হেভি লিফট নতুন করে মোতায়েন করা হয়েছে দু’টি ফরওয়ার্ড বেসে। ভারতীয় বায়ুসেনা নাইট টাইম কমব্যাট এয়ার পেট্রলিং শুরু করেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঩থেকেই। প্যাংগং লেক, গোগরা, হট স্প্রিং এলাকায় নাইট টাইম পেট্রলিং এবং প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের প্রায় সব পাহাড় চূড়ায় ভারতের দখলদারি। এই দুই ধাক্কায় স্ট্র্যাটেজিকভাবে তীব্র সঙ্কটে চীন। ইতিমধ্যেই প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত চাইছে সেই সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০তে নিয়ে যেতে। ফলে, চীনের যে কোনও সেনা মুভমেন্টই চলে আসছে ভারতীয় সেনার নজরদারিতে।

এর মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ হল, আজ ভারতীয় বায়ুসেনার গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে রাফাল এয়ারক্র্যাফ্ট। যা এক ধাক্কায় ভারতের বায়ুসেনার আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। আম্বালা এয়ার বেসে হাই প্রোফাইল এক অনুষ্ঠানে এই রাফাল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লিও। আম্বালা থেকে দু’টি রাফাল সোজা উড়িয়ে আনা হবে লে এয়ার স্ট্রিপে। ভারতীয় বাহিনীর সাম্প্রতিক তৎপরতা ও অতি সক্রিয়তায় লাদাখে এই প্রথম চীন রীতিমতো আতঙ্কিত। এতদিন সীমান্ত সংঘাতে চীনের আগ্রাসী মনোভাব অথবা অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভারত প্রতিরোধ করে এসেছে।

 কিন্তু এভাবে ভারতীয় সেনার আগ্রাসী মনোভাব দেখা যায়নি। পূর্ব লাদাখের তিনটি অংশে প্রায় হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় লালফৌজ ঢুকে আসার পর এবার প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে একের পর এক পাহাড়ের চূড়া ভারতীয় সেনা দখল করে নিয়েছে। আর এই অংশে ভারত সুবিধাজনক অবস্থানে। কারণ চীন সম্পূর্ণ পিছু হটে পুনরায় পূর্ব লাদাখকে টার্গেট করেছে। ইতিমধ্যেই ৩ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টে চীন রীতিমতো যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে এসেছে। খনন করা হয়েছে চারটি বাঙ্কার। পাল্টা ভারত সেনা মোতায়েন করেছে আরও তিনটি ফিঙ্গার পয়েন্টে। মোট তিনটি ফিঙ্গার পয়েন্টে একপ্রকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় বাহিনী ও লালফৌজ।

 কৈলাস রেঞ্জের সাকা লা থেকে শুরু করে যে পাহাড় চূড়াগুলি ভারতের সেনার দখলে চলে এসেছে সেগুলি হল, ব্ল্যাক টপ, হেলমেট, গুরুং হিল, মাগর হিল, মুখাপারি, রেজাং লা, রেচিন লা। ফলে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধ রসদ ও সরঞ্জাম নিয়ে এলেও সেগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছের ভুমিখণ্ডে পৌঁছতে পারছে না চীন। পেরতে পারছে না নিয়ন্ত্রণ রেখাও। লাদাখে ভারতকে অনেক বেশি ব্যস্ত রেখে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে যাতে বেজিং ঝটিকা হামলা করতে না পারে, তাই বুধবার থেকেই উত্তর-পূর্ব সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। সোমবার যে অস্ত্র নিয়ে লালফৌজ ঢোকার চেষ্টা করে, ১৫ জুন গলওয়ান উপত্যকার আগ্রাসনে ব্যবহার হয়েছিল সেই একই হাতিয়ার। সেই অস্ত্র একপ্রকার আদিমযুগের। গুয়ানদাও নামের ওই অস্ত্রের একটি দিকে ধারালো ব্লেড লাগানো।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়য় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে চীনের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের প্রাক্কালে সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠা থেকেই স্পষ্ট, এর বিশেষ সুফল পাওয়া যাবে না। একমাত্র বাকি রয়েছে সর্বোচ্চ স্তরের শান্তিবৈঠক। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি-জি জিনপিং সাক্ষাৎ। চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে একবারও মোদি ও জিনপিংয়ের কথা হয়নি। এবার কি হবে?

অফিসটাইমেও হাতে গোনা যাত্রী, পরিষেবা
চালু হলেও চেনা ছন্দে ফেরেনি দিল্লি মেট্রো

সকালে শুধুমাত্র চার ঘণ্টার জন্য চালু মেট্রো পরিষেবা। দূরত্ববিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই যদি শেষ মেট্রোটি চলে যায়? এই চিন্তা করেই বুধবার ঘণ্টাদুয়েক সময় হাতে নিয়েই মেট্রো ধরতে বেরিয়েছিলেন দিল্লির নির্মাণ বিহারের বাসিন্দা আমন পুষ্কর। কিন্তু মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে তাঁর চোখ কপালে। কোথায় ভিড়? কী স্টেশন, কী মেট্রো, পুরোটাই একদম ফাঁকা। থার্মাল স্ক্রিনিং, লাগেজ স্ক্যানিং, স্যানিটাইজেশনের পর স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে সময় লাগল মেরেকেটে পাঁচ মিনিট। না, ভুল হল। আরও কয়েক সেকেন্ড কম।
দিল্লি মেট্রোর অন্যতম ব্যস্ত ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন রাজীব চকের ভিড়ের সঙ্গে সম্যক পরিচিত আয়ান গুপ্তা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্টেশনে মেট্রো ঢোকার আগেই তাই থ্রি ফোল্ড গোটানো ফুল হাতা শার্টটিকে কব্জি পর্যন্ত পরে নিলেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই, পাছে ধাক্কা না লাগে মেট্রোয় উঠতে যাওয়া অপর যাত্রীর সঙ্গে। কিন্তু রাজীব চকে ট্রেন থামতেই কার্যত বিস্ময়ে হতবাক আয়ান। সকাল ১১টার রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে দরজার ওপারে নাকি মাত্র একজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে!
এই অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র আমন পুষ্কর কিংবা আয়ান গুপ্তার একার নয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লি মেট্রোয় সফর করা কমবেশি সব যাত্রীরই। কারণ পরিষেবা শুরুর তিন দিন পরে এখনও আগের সেই চেনা ছন্দে ফেরেনি দিল্লি মেট্রো। অফিস টাইমে আক্ষরিক অর্থেই মাত্র কয়েকজন যাত্রী সফর করছে ট্রেনগুলিতে। যাত্রীর অভাবে কার্যত খাঁ খাঁ করছে দিল্লি মেট্রোর ব্যস্ত স্টেশনগুলি। সেই হাঁকডাক, মেট্রো থেকে নেমেই কাঁধে ল্যাপটপের ব্যাগ গুছিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে প্ল্যাটফর্ম কিংবা এগজিট ওয়ের দিকে ছোটা। ... উধাও সবটাই। পরিবর্তে চাপা আতঙ্ক প্রত্যেকের মধ্যে। শরীরী ভাষাতেই তা মালুম হচ্ছে। টার্মিনাল স্টেশনে মেট্রো একবার স্যানিটাইজ হয়েছে তো? একটি সিট ছেড়ে এইমাত্র পরের আসনে যিনি বসলেন, তিনি কি একবার খুক করে কেশে উঠলেন? ব্যাগটি কি ঠেকে গেল অন্যের শরীরের সঙ্গে? ‘দিলওয়ালে কা শহর’ দিল্লিতে এই ছবি যেন বেজায় অপরিচিত মেট্রোর নিত্যযাত্রীদের কাছে।



আর্থিক সঙ্কট চরমে, দুই কিস্তিতে
পিএফের সুদ মেটানোর সিদ্ধান্ত

কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সঙ্কট চরমে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ইপিএফের সুদ পর্যন্ত একসঙ্গে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। পরিবর্তে তা কিস্তিতে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথমে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) গ্রাহকদের সুদ দেওয়া হবে ৮.১৫ শতাংশ হারে। তারপর দ্বিতীয় কিস্তিতে বকেয়া ০.৩৫ শতাংশ দেওয়া হবে। বুধবার কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) অছি পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এদিন এমপ্লয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইনসিওরেন্স স্কিমে (ইডিএলআই) আর্থিক সহযোগিতার সর্বোচ্চ সীমাও ছয় লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাত লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মরত অবস্থায় কোনও পিএফ গ্রাহকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের সদস্যকে এই কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। যদিও এদিনের বৈঠকে পিএফের পেনশন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র।
গত মার্চ মাসে ইপিএফও’র ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিংয়ে স্থির হয়েছিল, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের হিসেবে দেশের প্রায় সাড়ে ছ’কোটি ইপিএফ গ্রাহককে ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। এই হার তার আগের বছর, অর্থাৎ, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫ বেসিস পয়েন্ট কম। করোনা পরিস্থিতির কারণে একই বছরে দু’বার ইপিএফের সুদ কমানো হতে পারে বলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। এদিন অছি পরিষদের বৈঠক থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট। তা হল, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের হিসেবে ইপিএফের সুদের হার আর কমানো হচ্ছে না।
 পরিবর্তে দু’টি ধাপে পিএফ গ্রাহকেরা ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। সরকারি সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে এহেন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে বারবার করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন জানিয়েছে, গত মার্চের সিদ্ধান্ত অনুসারে যদি গ্রাহকদের একবারে ৮.৫০ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ঘাটতির মুখে পড়তে হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা সামাল দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব। কিস্তিতে সুদ মেটানো হলে এই সমস্যার কিছুটা সমাধান সম্ভব। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাকি ০.৩৫ শতাংশ সুদ মেটানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যেসব ইপিএফ গ্রাহক ডিসেম্বরের আগেই অবসর গ্রহণ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পুরোমাত্রায়। যদিও শ্রমমন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, এরকম ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের ইপিএফ সুদ একবারেই মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে।

সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলছে, যে আর্থিক সঙ্কটের কথা বলে দুটো কিস্তিতে সুদ মেটানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার, সেই সঙ্কট ডিসেম্বরের মধ্যে মিটে যাবে তো? যদি না মেটে, সেক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত মেনে বকেয়া সুদ শ্রমিক-কর্মচারীদের দেওয়া হবে তো? শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) বিক্রির মাধ্যমে বকেয়া ০.৩৫ শতাংশ সুদের অর্থ জোগাড় করা হবে।

সাঁওতালি মাধ্যমেও স্নাতকের পড়াশোনা বাঁকুড়ায়


স্নাতক স্তরে সাঁওতালি মাধ্যমে পড়াশোনায় ছাড়পত্র দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে এ বার সেই সুযোগ মিলবে। অতিথি শিক্ষকও নেওয়া হচ্ছে। তবে ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই সিলেবাস সাঁওতালি মাধ্যমে অনুবাদ করাটা এখন বড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বড় পরীক্ষা। 
জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ২০০৮ সালে প্রাথমিক স্তরে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়। ২০১৮ সালে প্রথম মাধ্যমিক এবং এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়ারা। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া জেলায় তেমন প্রায় ৭২ জন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে কলেজে সাঁওতালি মাধ্যম চালু না থাকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। সমস্যা মেটাতে কলেজে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠনপাঠন চালুর দাবি উঠছিল। অগস্টে উচ্চশিক্ষা দফতর বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঝাড়গ্রামের লালগড় গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ানোর ছাড়পত্র দেয়। গত ২২ অগস্ট থেকে সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরু হয়েছে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ ও পাঠ্যক্রম অনুবাদের কাজ।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উচ্চশিক্ষা দফতর বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি মাধ্যমে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা চালু করার অনুমতি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।” তিনি জানান, দর্শন, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও অঙ্ক— এই পাঁচটি বিষয় সাঁওতালি মাধ্যমে পড়ানো হবে। ওই বিষয়গুলি ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের বই সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদের কাজ শুরু হয়েছে। উপাচার্য জানান, আপাতত অলচিকি হরফ জানা ও নূন্যতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করা ব্যক্তিদেরই অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে এত বড় পাঠ্যক্রম অনুবাদ করতে গিয়েই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উপাচার্য বলেন, “সাঁওতালি মাধ্যমের সিলেবাস অনুবাদের জন্য ওই ভাষা জানা জেলার নানা কলেজের শিক্ষক এবং রাজ্যের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষেরও সাহায্য নিচ্ছি আমরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস অনুবাদ করার কাজ শেষ করাটাই এখন মূল লক্ষ্য।” 
ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের বাঁকুড়া জেলা ‘গডেৎ’ বিপ্লব সরেন বলেন, “স্নাতক স্তরে সাঁওতালি মাধ্যম চালু করার জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে কয়েকশো ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষার পথ মসৃণ হয়েছে। আমরা খুবই খুশি।” এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম বাঁকুড়ার হিড়বাঁধের তিলাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা অমরদীপ টুডু। তিনি বলেন, “সাঁওতালি মাধ্যমে পড়াশোনার পরে বাংলা মাধ্যমে ফিরে আসতে গেলে খুবই সমস্যায় পড়তাম। স্নাতক স্তর পর্যন্ত সাঁওতালি মাধ্যম চালু হওয়ায় আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি।”

ভোডাফোন নিয়ে আশঙ্কা থাকছেই

বকেয়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি কিস্তিতে মেটাতে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ১০ বছর সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে বকেয়া মিটিয়ে ব্যবসাকে স্থিতিশীল করার জন্য ভোডাফোন-আইডিয়ার (ভিআইএল) কাছে সেই সময়ও যথেষ্ট কি না, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস। 
ব্যবসায় বড় অঙ্কের ক্ষতির পাশাপাশি, স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বিপুল বকেয়া রয়েছে ভিআইএলের কাঁধে। এই অবস্থায় প্রথমে বাজার থেকে ২৫,০০০ কোটি টাকা তোলার কথা ঘোষণা করলেও, সোমবার পুঁজি সংগ্রহের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি চাওয়া হবে। মাসুল বৃদ্ধিরও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এখনই যে তারা জমি ছাড়তে নারাজ, পুঁজি তোলার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সেই বার্তা দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। 
তবে ফিচের বক্তব্য, ভিআইএলের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে বকেয়া মেটাতে ১০ বছরের সময়সীমাও সম্ভবত যথেষ্ট নয়। বরং সংস্থাটির দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য বাজারে অংশীদারি কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে জিয়ো এবং এয়ারটেলের অংশীদারি বাড়বে বলে মনে করছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। 
এ দিকে, সংস্থার শীর্ষ কর্তা রবীন্দ্র টক্করকে তিন বছর বেতন না-দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ভিআইএল। গত অগস্টে তিন বছরের জন্যই ওই পদে আসেন তিনি। সংস্থার প্রস্তাব, টক্করের কাজের খরচ বহন করবে তারা। তবে বেতন এবং পরিচালন পর্ষদ বা কোনও কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অর্থ পাবেন না তিনি। 

ইন্দ্রাণীর সঙ্গে একই জেলে রিয়া


ফের জামিনের আবেদন করলেন প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। আগামী কাল সেই আবেদনের শুনানি হবে।
সুশান্তকে মাদকের জোগান দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রিয়াকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)। কালই এক বার জামিনের আবেদন করেছিলেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। সেই আবেদন খারিজ করে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান দায়রা আদালতের বিচারক। আজকে রিয়াকে ফের ‘নির্দোষ’ দাবি করে জামিনের আবেদন করেন মানশিন্ডে। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘রিয়া কোনও অপরাধ করেননি। তাঁকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে।’’

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন ট্রাম্প

সামনেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগেই, ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে। মার্কিন টিভি চ্যানেল ‘ফক্স নিউজ’ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
গত অগস্টেই নাটকীয় ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা করে ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দুটি দেশ। দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই ট্রাম্পকে মনোনীত করেছেন নরওয়ের পার্লামেন্টের চার বারের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে। তিনি আবার নেটোয় নরওয়ের প্রতিনিধি দলের চেয়ারম্যানও বটে।

No comments:

Post a Comment