নোট বাতিলের পর থেকেই অনলাইন ট্রানজাকশনে উৎসাহ দেওয়া হয়। এই কয়েক বছরে আরও অনেক নতুন নিয়ম কানুনও তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত লকডাউনে অনলাইন লেনদেন আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। আর সেইসব লেনদেনকারীর জন্য এবার সুখবর।
এবার থেকে অনলাইন বা ইউপিআই ট্রানজাকশনে কোনও টাকা কাটা যাবে না। রবিবার ব্যাংকগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ‘রুপে’ বা ইউপিআই সার্ভিসে কোনও অতিরিক্ত টাকা কাটা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
১ জানুয়ারি, ২০২০-এর পর কোনও গ্রাহকের থেকে এই চার্জ কাটা হয়ে থাকলে তা ব্যাংকগুলিকে ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। রবিবারই কেন্ত্রীয় সংস্থা নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, UPI (Unified payment Interface) মাধ্যমে পেমেন্ট করলে কোনও চার্জ কাটা যাবে না ৷ ডিজিট্যাল লেনদেন বাড়াতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত৷
গত কয়েকদিনে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রককে প্রেজেন্টেশন দিয়েছে একাধিক ডিপার্টমেন্ট। আর সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
ব্যাংকের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কয়েকটা ট্রানজাকশন বিনামূল্যে হয়। পরে টাকা কাটা হয়। যা একদমই নিয়মবিরুদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সতর্ক করে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, সরকারের জারি করা এই নিয়ম না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ নির্দেশিকায় CBDT জানিয়েছে ,নির্দিষ্ট কিছু বার ডিজিট্যাল লেনদেনের পর মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট চার্জ (MDR) চার্জ কাটছিল বেশ কিছু ব্যাঙ্ক ৷ যা একদমই নিয়মবিরুদ্ধ ৷ সতর্ক করে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, সরকারের জারি করা এই নিয়ম না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷
UPI দিয়ে BHIM, Phone Pay, Google Pay, Mobikwik, Paytm-এর মতো অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায় ৷ সাধারণ নিয়ম অনুসারে ইউপিআই দিয়ে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অবধি ট্রান্সফার করা যায় ৷ যদিও ব্যাঙ্কভেদে নিয়মটি ভিন্ন হতে পারে ৷ UPI -এর মাধ্যমে যে কারও অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা যায় ৷
এদিন CBDT মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট চার্জ বলে যে চার্জটি মকুব করল সেটি আসলে বিক্রেতা যখন ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এবং ডিজিট্যাল পেমেন্ট করলে যে চার্জ নেয় ৷ বলা যেতে পারে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পেমেন্টের ফি হিসাবে কাটা হয় এই চার্জ ৷ তবে উল্লেখ্য, এই টাকা দোকানদাররা পান না ৷
No comments:
Post a Comment