সব ডাকঘরেই এবার শিশুদের আধার - Learn and Let others to Learn
এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে । এটা হলো শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট।এখানে বইয়ের কাজ,এক্সট্রা কোয়েশ্চন আনসার,গ্রামার ও কোয়েশ্চন ব্যাংকের উত্তর পাওয়া যাবে ।
|

Friday, September 18, 2020

সব ডাকঘরেই এবার শিশুদের আধার

এখন তো সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ড প্রায় বাধ্যতামূলক। শিশুর জন্মের সঙ্গে আধার কার্ড বানাতে দৌড়তে হয় বাবা-মাকে। তার জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্রে রাতভর লম্বা লাইন। দুর্ভোগের সেই দিন এবার অবসানের পথে। এবার পোস্টাল পেমেন্ট ব্যাঙ্কের পরিকাঠামোর মাধ্যমে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের আধার কার্ড তৈরির উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। যা করা যাবে গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস থেকেই। এতদিন শুধু হেড বা সাব পোস্ট অফিসেই এই কাজ হতো।
সুচারুভাবে এই ‘বাল আধার’ নথিভুক্ত করতে নতুন অ্যাপ তৈরি করেছে আধার কার্ড তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)। শুধুমাত্র ফোনের মাধ্যমে এই কাজের সুবিধা থাকায় আগামী দিনে বাড়ি গিয়ে কিংবা যে কোনও জায়গায় ক্যাম্প করেও আধার কার্ড তৈরি করতে পারবেন ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টাররা। প্রতিটি কার্ডের জন্য তাঁদের নির্দিষ্ট কমিশনও দেওয়া হবে। এই কাজে গতি আনতে বিভিন্ন জেলায় অনলাইনে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে।
আধার কার্ড তৈরি নিয়ে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণার শেষ নেই। অথচ প্রায় প্রতিটি গ্রাম ও শহরে একাধিক ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস রয়েছে। সারা দেশে পোস্টম্যান বা ডাক সেবকের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার। যাদের প্রত্যেকের কাছে ডাক বিভাগের দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার আছে। এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউআইডিএআইয়ের কাছে প্রস্তাব দেয় পোস্টাল পেমেন্ট ব্যাঙ্ক। চলতি মাসের শুরুতে এই প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। ডাক বিভাগের আধিকারিকদের দাবি, আধার কার্ড করাতে আসা মানুষকে দপ্তরের নানা স্কিম ও সুযোগের কথাও সহজে জানানো যাবে। আগামী দিনে ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগও রয়েছে।
মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রথম আধার নথিভুক্তিকরণ শুরু হচ্ছে। ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে আধার কার্ড করানোর জন্য শিশুর নাম, জন্মের তারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা মেইল আইডি, শিশুর ছবি, বাবা বা মায়ের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহ অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। কোনও শিশুর নামকরণ করা না হলেও ‘বাল আধার’ করা যাবে। সেক্ষেত্রে মায়ের নাম নিয়ে কত নম্বর শিশু লিখলেই চলবে। সমস্ত তথ্য অ্যাপে আপলোড হওয়ার পর অভিভাবকের দেওয়া মোবাইল নম্বরেই মেসেজ আসবে। তবে শিশুর বাবা বা মায়ের কার্ডের সঙ্গেই যুক্ত হবে শিশুর আধার। অন্য কারও সঙ্গে নয়। বাবা ও মায়ের আধার কার্ডও এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। কারণ, অ্যাপে ওই দু’টি কার্ডের ছবিও আপলোড করতে হবে। বিশেষ কারণে শিশুর দায়িত্ব বাবা কিংবা মা যে কোনও একজনের কাঁধে থাকলে, তাঁর আধার কার্ড থাকলেই চলবে। তবে সমস্ত ক্ষেত্রে মায়ের আধার কার্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আধার কার্ডে ফোন নম্বর আপডেট করানো যাবে। প্রতিটি জেলায় ধাপে ধাপে ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলিতে এই কাজ করা হবে। ডাক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, শিশুদের আধার কার্ড তৈরির জন্য চাইল্ড এনরোলমেন্ট লাইট ক্লায়েন্ট নামে নতুন অ্যাপে কাজের বিষয়ে ব্রাঞ্চ পোস্টমাস্টারদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এর ফলে গ্রাম বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।  

No comments:

Post a Comment